দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে হঠাৎ করে ভারত সরকার ছয়টি পণ্য রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এতে দেশের সর্ববৃহৎ যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরে ভারতে রফতানির অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে পণ্যবোঝাই শতাধিক ট্রাক আটকা পড়েছে। হঠাৎ করে ভারত সরকার এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় দেশের রফতানিকারকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। এ ছাড়া নদী ও আকাশ পথে পণ্য রপ্তানিতে সময় ও খরচ কয়েকগুণ বাড়বে বলে জানিয়েছেন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ব্যবসায়ীরা।
তারা জানান, রোববার (১৮ মে) থেকে ভারতে সুতার গার্মেন্টস পণ্য, ফ্রুট ফ্লেভার ও কার্বোনেটেড ড্রিংক তৈরিকৃত খাদ্যসামগ্রী এবং প্লাস্টিক পিভিসি বা কাঠের ফার্নিচারসহ ছয়টি পণ্যের রপ্তানি বন্ধ রয়েছে।
রপ্তানিকারক ইদ্রিস আলী বলেন, কলকাতা ও মুম্বাইয়ের নবসেবা সমুদ্রবন্দর দিয়ে রপ্তানি কঠিন ও ব্যয়বহুল। আটকে পড়া রপ্তানি পণ্য নিয়ে বিপাকে পড়েছি।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, বেনাপোল বন্দর দিয়ে গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানি দিনেরটা দিনে করা যেত। ভারতের নিষেধাজ্ঞা ফলে এসব পণ্য ভারতে রপ্তানি করতে ১০ থেকে ১৫ দিন সময় লাগবে। ফলে খরচ ও সময় কয়েকগুণ বাড়বে। তবে পূর্বের এলসির পণ্য বেনাপোল দিয়ে রপ্তানিতে ভারতীয় সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, শনিবার ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে আইটিসি অ্যাক্ট ২০২২ এর আলোকে এফটিপি ফরেন ট্রেড, সুতা ফ্রজেন, ফুডসহ ৬টি পণ্য স্থলপথে রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। ফলে এখন থেকে স্থলপথে এ সমস্ত পণ্য আর রপ্তানি করা যাবে না। তবে সমুদ্র ও আকাশ পথে এ সব পণ্য রপ্তানি করা যাবে। এতে করে ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশের ব্যবাসায়ীরা। তবে আগের এলসির পণ্য রফতানি করার সুযোগ দেওয়ার দাবি করেন এই ব্যবসায়ী নেতা।
দপ্তর সম্পাদক মোস্তাফিজ্জোহা সেলিম বলেন, হঠাৎ হঠাৎ এমন নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও সৌহার্দ্য সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু করেছে। এতে উভয় দেশের ব্যবসায়ীরাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস কার্গো শাখার সুপার আশরাফ আলী রোববার বিকেল ৩টার দিকে বলেন, ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞার পর সকাল থেকে কোনো তৈরি পোশাকশিল্পের পণ্য ভারতে ঢোকেনি। বেশ কিছু ট্রাক বন্দর ও বন্দরের সড়কে আটকে পড়েছে।