ফুলতলা (খুলনা) প্রতিনিধি: প্রতারণা করে ৮ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলার রায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ডাদেশে গ্রেফতার এড়াতে ১৭ বছর পালিয়ে থেকেও শেষ রক্ষা হয়নি নজরুল হক ববির (৫৫)। বুধবার দিবাগত রাতে কেএমপির খানজাহান আলী থানা পুলিশ ফুলতলা উপজেলার শিরোমনি মধ্যপাড়া নিউ হক ভিলা বাসভবন থেকে তাকে গ্রেফতার করে। তিনি ফুলতলার দামোদর নতুনহাট এলাকার মৃত শেখ ইমদাদুল হকের পুত্র।
মামলা ও থানা সূত্রে জানা যায়, খুলনা মহানগরীর মির্জাপুর এলাকার এক সময়ের বাসিন্দা নজরুল হক ববি ২০০৬ সালে মতিয়াখালীর বাসিন্দা ব্যবসায়ী হারুণ অর রশিদকে ঠিকাদারী ব্যবসার অংশীদার করার লোভ দিয়ে ৮ লাখ টাকা নেন। কাজ শেষে ববি টাকা ফেরত না দিলে ২০০৭ সালে খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। তখন ববি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। গত ২০ এপ্রিল ২০০৮ সালে সিএমএম আদালত বিচারের জন্য মামলা দায়রা জজ আদালতে প্রেরণ করেন। সাব জজ ১ম আদালত ববির অনুপস্থিতিতে ২০০৯ সালের ৭ জানুয়ারি ঘোষিত রায়ে ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৮ লাখ টাকা জরিমানা করেন। সপ্তাহখানেক ববিকে শিরোমনি এলাকায় দেখতে পেয়ে হারুণ অর রশিদ আদালতের স্মরণাপন্ন হন। যুগ্ম দায়রা ১ম আদালত গত ১৯ মে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। পরোয়ানা পাওয়ার পর কেএমপি কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দারের ব্যক্তিগত তত্ত্বাবধানে খানজাহান আলী থানা বুধবার রাতে শিরোমনি মধ্যপাড়া নিউ হক ভিলা বাস ভবন থেকে ববির বর্তমান বাসস্থান থেকে গ্রেফতার করে। তাকে আদালতের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অপরদিকে প্রতারণার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি নজরুল হক ববির গ্রেফতারের খবর পেয়ে খুলনার রড সিমেন্টসহ বিভিন্ন পাওনাদাররা তাদের পাওনা টাকা আদায়ের জন্য তৎপর হয়ে উঠেছে।