নিজস্ব প্রতিবেদক: চৌগাছার দিঘলসিংহ গ্রামের হেলপার মিরাজ হোসেন চয়নকে হত্যার দায়ে মাইক্রোবাস চালক রাজু হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছে যশোরের একটি আদালত। মঙ্গলবার অতিরিক্ত দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের বিচারক এসএম আশিকুর রহমান এক রায়ে এ আদেশ দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত রাজু হোসেন চৌগাছার বহিলাপোতা গ্রামের মৃত ইসমাইল হোসেন মন্ডলের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট নুরুজ্জামান খান।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, চয়ন লেখাপড়ার পাশাপাশি রাজু হোসেনের মাইক্রেবাসের হেলপারের কাজ করতো। ২০২২ সালের ১২ জুন রাতে চয়ন বন্ধুদের সাথে পিকনিক করার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। রাতে আর বাড়ি ফিরেনি, তার মোবাইল ফোন নম্বরও বন্ধ ছিলো। নিখোঁজ চয়নকে খোঁজাখুজি করে উদ্ধ্যারে ব্যর্থ হয় স্বজনরা। পরদিন সকালে মাধবপুর গ্রামের ধোনারখাল কপোতাক্ষ নদের উত্তর পাড়ে পানির কিনারায় বস্তাবন্দি অপরিচিত লাশ উদ্ধার করে স্থানীয়রা। এ সংবাদ পেয়ে নিখোঁজ চয়নের স্বজনরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তার লাশ শনাক্ত করে। এ ঘটনায় ১৪ জুন নিহতের পিতা সবুজ হোসেন বাদী হয়ে অপরিচিত ব্যক্তিদের আসামি করে চৌগাছা থানায় মামলা করেন। মামলাটি প্রথমে থানা পুলিশ এবং পরে পিবিআই তদন্ত করে। মামলার তদন্ত কালে পিবিআই সন্দেহজনক ভাবে মাইক্রোবাস চালক রাজুকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করলে হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেয়।
মামলার তদন্ত শেষে মাইক্রোবাস চালক রাজু হোসেনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন এসআই শরীফ এনামুল হক।
সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামি রাজু বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাধণ্ড, ১ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১ বছর কারাদণ্ড এবং লাশ গুমের দায়ে ৩ বছর কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন বিচারক। সাজাপ্রাপ্ত রাজু কারাগারে আটক আছে।