ডুমুরিয়া (খুলনা) প্রতিনিধি : ডুমুরিয়ায় জলাবদ্ধতা নিরসনে আধারমানিক দোয়ানিয়া খাল পুনঃখনন কাজ করছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড। কিন্তু অপরিকল্পিত খননের ফলে গ্রামীণ পাকা সড়কের ক্ষতি হয়ে গেছে। বর্ষা মৌসুমে চলাচলে চরম ভোগান্তির মুখে পড়তে যাচ্ছে কয়েক গ্রামের বাসিন্দারা। খালপাড়ের অনেকের বাড়ি ঘরও হুমকির মুখে পড়েছে।
জানা যায়, উপজেলার আটলিয়া ও মাগুরখালী ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী আধারমানিক দোয়ানিয়া খাল। খালটি দীর্ঘদিন ভরাট ছিলো। এতে বর্ষা মৌসুমে পানি নিষ্কাশনের অনেকটা বাঁধা সৃষ্টি হতো। যার ফলে খালটি পুনঃখননের উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড। খননের কাজ প্রায় সম্পন্ন। ১৪ লাখ ২৬ হাজার টাকা বরাদ্দের খনন কাজটি বাস্তবায়ন করছে রংপুরের ইউনাইটেড ব্রাদার্স নামক একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। অপরিকল্পিতভাবে খননের ফলে খালপাড়ের দু’টি গ্রামীণ সড়কের সর্বনাশ হয়েছে।
এরই মধ্যে কড়া নাড়ছে বর্ষাকালের। বেহাল সড়ক নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে আধামানিক, বৈঠাহারা, কাঠবুনিয়া, খলসিবুনিয়াসহ ৫/৭ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। গত ২২/২৩ অর্থ বছরে টিআর/কাবিখা প্রকল্পের আওতায় প্রায় ১৫ লাখ টাকা বরাদ্দে বৈঠাহারা পারের খালপাড়ের সড়ক পুনঃনির্মাণ করা হয়। এলাকাবাসীর স্বপ্নের সেই সড়ক ভেস্তে গেলো খাল খননের মধ্যদিয়ে! ইটগুলো তোলারও সুযোগ পায়নি। অনেক ইট মাটির তলে চলে গেছে। এমন বিদ্বেষী খাল খনন এবং রাস্তা সর্বনাশ হওয়ায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছে স্থানীয়রা। খালপাড়ের বাসিন্দা ইউপি সদস্য পতিরাম মন্ডল জানান, ‘খাল খনন হয়েছে ঠিক! কিন্তু আমাদের চলাচলের রাস্তা ক্ষতি হয়ে গেছে। খননের সময় ঠিকাদারকে বলেছিলাম যেন রাস্তার ক্ষতি না হয়। কিন্তু কে কার কথা শোনে। রাস্তার ইটগুলো তোলার তাই সময় পায়নি। অনেক ইট মাটির তলে চলে গেছে।’
আটলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শেখ হেলাল উদ্দিন জানান, ‘সড়ক নষ্ট করে খাল পুনঃখনন করা যৌক্তিক কাজ নয়। সড়কের ব্যাপক গুরুত্ববহন করছিলো। আটলিয়া, মাগুরখালী ও কাটবুনিয়াবাসীর চলাচলের একমাত্র সড়ক এটি। অপরিকল্পিত খননের ফলে অতি জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটির বেহাল অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসডি হুমায়ুন কবির জানান, খাল খনন হলে খালপাড়ের রাস্তার কিছু ক্ষতি হবে এটা স্বাভাবিক। স্থানীয় মেম্বরকে রাস্তার ইটগুলো গুছিয়ে রাখতে বলেছিলাম। তবে সড়ক মেরামতে আমাদের কোনো বরাদ্দ নেই।