Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)

প্রেমের টানে ইন্দোনেশিয়া থেকে আলমডাঙ্গায়

এখন সময়: রবিবার, ১৫ জুন , ২০২৫, ০৪:১৩:৪২ এম

 

আলমডাঙ্গা অফিস: ভালোবাসার টানে দূর ইন্দোনেশিয়া থেকে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার এক গ্রামে ছুটে এলেন জিমনিয়া নামের এক তরুণী। প্রেমিক শোভন মিয়ার সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্কের পর সম্প্রতি তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। ঘটনাটি এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।

জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার বারদী ইউনিয়নের অনুপনগর নওদাপাড়া গ্রামের আনারুল ইসলামের ছেলে শোভন মিয়া প্রায় ১৩ বছর আগে জীবিকার তাগিদে সিঙ্গাপুরে যান। সেখানে তিনি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। সেখানেই পরিচয় হয় ইন্দোনেশিয়ান তরুণী জিমনিয়ার সঙ্গে। যিনি একটি গার্মেন্টসের দোকানে কর্মরত ছিলেন। প্রতিদিনের যাতায়াত আর কথোপকথনের মধ্য দিয়ে তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে বন্ধুত্ব। ধীরে ধীরে সেই বন্ধুত্ব রূপ নেয় গভীর ভালোবাসায়। নয় মাস আগে শোভন বাংলাদেশে ফিরে আসেন। কিছুদিন যোগাযোগ না থাকলেও প্রেমের টান থেমে থাকেনি। প্রেমিককে খুঁজতে খুঁজতে অবশেষে ২৬ মে সোমবার সকালে শোভনের গ্রামের বাড়িতে এসে হাজির হন জিমনিয়া। এরপর শোভন ও জিমনিয়া চুয়াডাঙ্গা আদালতে আনুষ্ঠানিকভাবে বিবাহ করেন। দেনমোহর ধার্য করা হয় ১০ হাজার টাকা। শোভন মিয়া বলেন, ভালোবাসা কখনো জাত-বর্ণ বা দেশের বাধা মানে না। আমি গর্বিত যে জিমনিয়া আমাকে ও আমার পরিবারকে মেনে নিয়েছে। শোভনের মা জানান, আমার ছেলে অনেক বছর প্রবাসে ছিল। সেখানে গিয়ে সে যাকে ভালোবেসেছে তাকেই বিয়ে করেছে এতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। জিমনিয়া খুব ভালো মেয়ে। পরিবারের সবার সঙ্গে মিশে গেছে। শোভনের দাদা বলেন, আমাদের সময়ে এমন কিছু চিন্তাও করা যেত না। এখনকার ছেলেমেয়েরা অনেক সাহসী। মেয়েটি ভিন্ন দেশের হলেও খুব ভদ্র, সবার প্রতি শ্রদ্ধাশীল। এই আন্তর্জাতিক প্রেমের সফল পরিণতি এখন পুরো গ্রামজুড়ে আলোচনার বিষয়। অনেকেই বলছেন, ভালোবাসা সত্য হলে সে যে কোনো সীমা অতিক্রম করতে পারে শোভন-জিমনিয়া তারই প্রমাণ।

Ad for sale 100 x 870 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
Ad for sale 225 x 270 Position (4)
Position (4)