Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)

কালীগঞ্জে নিখোঁজের দুই মাসেও বাড়িতে ফেরেননি দুই সন্তানের জননী রিনা

এখন সময়: রবিবার, ১৫ জুন , ২০২৫, ০৪:২০:২৩ এম

 

কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি  : বাড়ি থেকে বের হয়ে দু’মাস পেরিয়ে গেলেও আজো ফিরে আসেননি ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের দুই সন্তানের জননী রিনা পারভীন (৩৭) নামে এক গৃহবধূ। শহরের থানা রোডের ত্রি স্টার হোটেলের মালিক সাজ্জাদ হোসেনের স্ত্রী রিনা পারভীন গত ১১ এপ্রিল থেকে নিখোঁজ রয়েছে। এ মর্মে পরদিন তিনি কালীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করলেও অদ্যবধি পুলিশও তার হদিস মেলাতে পারিনি। পরিবারের ক্ষোভ পুলিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত তদন্ত কর্মকর্তা এস আই রানা প্রতাপের ঢিলেমির কারণে তারা প্রতিকার পাচ্ছেন না। এমন অবস্থায় গৃহবধূ রিনা অপহরণ, গুম না হত্যার শিকার হতে পারে এ আশঙ্কায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে পরিবার। এ নিয়ে সন্তান স্বজনদের মাঝে চলছে শোকের মাতম।

থানায় লিখিত এজাহার ও নিখোঁজ রিনা পারভীনের স্বামী সাজ্জাদ হোসেন জানান, গত ১১ এপ্রিল সকাল ১০ টার দিকে তার স্ত্রী কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর সারাদিন পেরিয়ে গেলেও সে বাড়িতে ফিরে না আসাতে সন্ধ্যার পর স্ত্রীর ব্যবহৃত মোবাইলে ফোনে কল দিলে বন্ধ পায়। রাতে ও পরদিন নিকট আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে খোঁজ নিয়েও তার সন্ধান মেলেনি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। পরে রাতেই তার স্বামী সাজ্জাদ হোসেন কালীগঞ্জ থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। সাজ্জাত জানান, পুলিশ তার স্ত্রীর মোবাইল ট্র্যাকিং করে গত ১৩ এপ্রিল পাবনা ও ২৩ এপ্রিল বরিশালের পিরোজপুরে কিছু সময়ের জন্য মোবাইল অন পেয়েছিল। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা থানার এস আই রানা প্রতাপের অসহযোগিতার কারনে আজো তার সন্ধান বা উদ্ধার হয়নি।

সাজ্জাদ হোসেন আরো জানায়, তার স্ত্রী রিনা ১১ এপ্রিল বাড়ি থেকে বের হয়েছে। কিন্তু তার ১০ দিন আগে ১ এপ্রিল কুষ্টিয়া মিরপুর থানায় ১নম্বর চিলশিয়া ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার নুরুল আমিন খান স্বাক্ষরিত একটি তালাকনামার কপি গত ১২ মে ডাকযোগে তার হাতে আসে। সেটির সত্যতা জানতে তিনি ওই রেজিস্ট্রারের সাথে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। এবং তালাক নামাতে কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহের দু’জন স্বাক্ষীর বিষয়ে খোঁজ নিয়ে তাদেরও কোন হদিস পাননি। তার ধারনা তালাকের ঘটনাটি প্রতারক চক্রের সাজানো নাটক হতে পারে। তবে, তালাকনামার বিষয়টির সত্যতা জানতে নিকাহ রেজিস্ট্রার নুরুল আমিন খানের মুঠোফোনে মঙ্গলবার রাত নয়টায় দিকে কয়েকবার কল দিলেও তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে।

পৌর এলাকার চাপালী খানা গ্রামের পাড়ার বাসিন্দা স্বামী সাজ্জাত হোসেন আরো জানান, ছোয়াদ ইসলাম (২২) ও মোছাঃ জারিন (১৪) নামে তাদের দুটি সন্তান আছে। তালাক বা সংসার করবে না এমন কোন বিষয় থাকলে স্ত্রী সন্তানদের কাছে অবশ্যই বলত। সাজ্জাত আরো বলেন, কালীগঞ্জ উপজেলার গয়েশপুর গ্রামের টুটুল হোসেন নামে এক যুবক তার স্ত্রীকে প্রায়ই মোবাইলে ডিস্টার্ব করতে। পরে সেখানেও খোজ নিয়ে স্ত্রীর কোন সন্ধান পাননি তারা।

পরিবার ও সাজ্জাদ হোসেনের ভাষ্য, তার স্ত্রী রিনা কোন সঙ্গবদ্ধ প্রতারক চক্র বা অপহরণকারীদের খপ্পরে পড়তে পারে। কারন তার স্ত্রীর কাছেই সাত ভরির মত সোনার গহনা ও প্রায় লক্ষাধিক টাকা ছিল। হয়ত এসব হাতিয়ে নেবার উদ্দেশ্যেই কোন চক্র তাকে ফুসলিয়ে অপহরণপূর্বক গুম করতে পারে বলে আশংকা করছে। থানায় অভিযোগ দেবার পর প্রায় দু’মাস অতিবাহিত হলেও সন্ধান না পাওয়াতে তাদের শংকা বাড়ছেই। এ নিয়ে ছেলে মেয়ে ও পরিবারের মধ্যে চলছে শোকের মাতম।

স্বামী সাজ্জাত হোসেনের দায়েরকৃত এজাহারের বিষয়ে থানার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই রানা প্রতাপ বলেন, তিনি প্রথম দিকে মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে নিখোঁজ রিনা পারভীনকে উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়েছেন। গত দু’সপ্তাহ আগে তার স্ত্রী স্বামীর কাছে একটি তালাকনামা পাঠিয়েছেন। নিখোঁজ মহিলাটি এডাল্ট। যে কারণে তিনি তালাকনামাটি যাচাইবাছাই করার প্রয়োজন বোধ করেননি।  এবং অভিযোগের বিষয়ে আর এগোননি বলে সাফ জানান তিনি।

তবে গৃহবধু নিখোঁজ এজাহারটির তদন্ত কর্মকর্তার অসহযোগিতার বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ শহিদুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, আমি এখন একটি জরুরী মিটিংয়ে রয়েছি। অসহযোগিতার বিষয়টি খতিয়ে দেখে বিস্তারিত জানাবেন বলে জানান তিনি।  

Ad for sale 100 x 870 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
Ad for sale 225 x 270 Position (4)
Position (4)