শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি : বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ ও অমাবস্যার জোয়ারে সুন্দরবন সংলগ্ন শরণখোলা উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের তেরাবেকা গ্রামের একটি রিংবাঁধ ভেঙে প্রায় দুশ পরিবার পানিবন্দি হয়েছে । আর এতে করে ওই পরিবারগুলো জীবন যাপন অস্বস্তির মধ্যে পড়েছে। গত বছর ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে রিংবাঁধ ভেঙে ওই গ্রামটি পানিতে তলিয়ে যায়।
সংশ্লিষ্ট এলাকা ঘুরে এবং ওই পরিবারগুলোর সাথে কথা বলে জানা গেছে, শরণখোলা উপজেলায় ৬৪ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হলেও ওই পরিবারগুলো বাঁধের বাইরে থাকায় কোনোরকম একটি রিং বাঁধ দিয়ে তারা জীবন যাপন করছেন। ৩০ মে রাত দুইটা আড়াইটার দিকে লঘু চাপের প্রভাব ও তুমুল বৃষ্টিতে নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় রিংবাঁধটি ভেঙে যায় আর এতে তেরাবেকা এলাকার প্রায় দুশ পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়ে। গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগি নিয়ে বিপাকে পড়েন পরিবারগুলো। এমনকি ওই পরিবার গুলিতে দুপুরে রান্নাবান্না হয়নি বলে অনেকে জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে সাউথখালী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শহীদ আলম লিটন বলেন, টেকসই একটি রিং বাঁধ দিলে ওই সব পরিবার নিরাপদে জীবন যাপন করতে পারবেন।
এ ব্যাপারে শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুদীপ্ত কুমার সিংহ বলেন, এই মুহূর্তে ভেঙে যাওয়া বাঁধ মেরামত করা সম্ভব নয় বৃষ্টি কমে গেলে এবং পানি নেমে গেলে রিংবাঁধের ভেঙে যাওয়া অংশটি মেরামত করে দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।