নিজস্ব প্রতিবেদক : সেনা কর্মকর্তা পরিচয়ে একজন নারী দন্ত চিকিৎসককে মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ এবং ৫০ লাখ টাকা প্রতারণার মাধ্যমে নেয়ার ঘটনায় বেনজির হোসেন (৪২) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে যশোর ডিবি পুলিশ। তার বিরুদ্ধে যশোর কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। তিনি নড়াইল সদর উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের জামির হোসেনের ছেলে।
ওই নারী চিকিৎসক এজাহারে উল্লেখ করেছেন, চিকিৎসা নিতে আসার সুযোগে বেনজিরের সাথে তার পরিচয় হয়। এরপর থেকে বেনজির নানা ভাবে তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে। সে নিজেকে সেনাবাহিনীর মেজর এবং ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ থেকে লেখাপড়া করেছে বলে নানা তথ্য দেয়। তাকে দুর্বল করার চেষ্টা করে। তার প্ররোচনায় পড়ে ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে ৫/৬ বার বিকেলে হোটেল জাবির ইন্টারন্যাশনালে নিয়ে যায়। সেখানে তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করার চেষ্টা করে। বাধা দিলে বিয়ে করবে বলে জানায়। তাকে আমেরিকায় তার বোনের বাড়িতে নিয়ে যাবে বলে জানায়। সেখানে হাসপাতালে চাকরির আশ্বাস দেয়। ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ মাসের মধ্যে ৩/৪ বার তার সাথে যৌন সম্পর্ক করে এবং গোপনে মোবাইল ফোনে তা ভিডিও ধারন করে। পরে বিভিন্ন কথা বলে তার কাছ থেকে কয়েক দফা ৫০ লাখ টাকা নেয় বেনজির। তার চেম্বারে গিয়ে ব্যাংকের দুইটি ফাঁকা চেক নেয়। পরবর্তীতে তিনি টাকা ও চেক ফেরৎ চাইলে তাকে কিছু দেয়া হবে না বলে জানায়। গত ২০ এপ্রিল বিকেল তিনটার দিকে তাকে চুপচাপ থাকতে বলে। বেশি কথা বললে তাকে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে খুন করবে বলে জানায়। এছাড়া তার একমাত্র ছেলের ক্ষতি করবে বলে হুমকি দেয়। পরে তিনি খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন বেনজির আসলে সেনা সদস্য না। সে আসলে একজন ঠকবাজ। মিথ্যা কথা বলে মানুষের সাথে সম্পর্ক গড়ে সুবিধা নেয়া তার কাজ। ফলে তিনি প্রতারিত হয়ে থানায় মামলা করেন।
এ বিষয়ে ডিবির অফিসার ইনচার্জ মঞ্জুরুল হক ভুঞা বলেন, আটকের পর তিনি ঘটনার কথা স্বীকার করেছেন। এছাড়া অনুসন্ধানে আরও উঠেছে তার বিরুদ্ধে আরও একটি পর্নোগ্রাফী আইনের মামলা, দুইটি প্রতারণাসহ চারটি মামলা রয়েছে।