শাহীন আলম তুহিন, মাগুরা : মাগুরায় আসন্ন কোরবানী ঈদকে সামনে রেখে জেলার পশুহাট গুলো শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে । মাগুরা সদরের রামনগর ,কাটাখালি,আলমখালি,ইছাখাদা ,আলোকদিয়া ও ইটখোলা পশুর হাট গুলোতে ক্রেতাদের ভিড় কম দেখা গেছে । তবে হাট মালিকরা বলছেন শেষের ২-৩দিন হাটে ক্রেতাদের ভিড় বেশি হবে । সেই লক্ষ্যে হাট মালিকরা সেরা মানের পশু রাখতে চান বলে জেলার খামারিদের প্রতি জোর আহবান জানিয়েছেন ।
শেষ মুহূর্তে গ্রামের খামারিরা উপযুক্ত দামটি পেতে পশুর হাটে সর্Ÿোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন । অনেক ক্রেতারা আবার বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে তাদের পছন্দের পশুটি ক্রয় করছেন । আবার কেউ কেউ পছন্দের পশু কিনতে ছুটছেন বিভিন্ন হাটে । আগামী শনিবার হবে কোরবানি ঈদ । আর মাত্র ২-৩ দিন বসবে হাট । জানা গেছে, মাগুরা সদরের কাটাখালি হাট বসবে বুধবার,বৃহস্পতিবার বসবে আলোকদিয়া ও আলমখালির হাট এবং শুক্রবার জেলা সবচেয়ে বড় পশুর হাট বসবে রামনগর । তাছাড়া সদরের ইটখোলা বাজারে প্রায় প্রতিদিনই বসছে পশুর হাট । ক্রেতাদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে জেলার খামারিরা ভালো মানের পশু হাটে বিক্রির জন্য হাটে নিয়ে আসছেন । রামনগরের হাট ইজারাদার নুরে আলম দিপু জানান,গত বছরের তুলনায় এবার হাটে পশু চাহিদা বেশি থাকলেও ক্রেতা খুবই কম । এতে বেশি হতাশ খামারিরা । অনেক খামারিরা একটি পশুকে ২-৩ টি হাটে এনে বিক্রির জন্য সময় কাটাচ্ছেন । তবে শেষ মুর্হুতে শুক্রবার হাটের দিকে বেশি নজর খামারিদের । আশা রাখছি এদিন পশু ভালো বিক্রি হবে । মঙ্গলবার সরেজমিন সদরের ইছাখাদা পশু হাটে গিয়ে দেখা গেছে ,পর্যাপ্ত পরিমানে পশু আছে হাটে কিন্তু ক্রেতা না থাকায় হতাশ হচ্ছেন খামারিরা । সদরের বিভিন্ন গ্রাম থেকে নছিমন ভাড়া করে হাটে পশু নিয়ে আসছেন বিক্রিতারা । কিন্তু পশু কম থাকায় হাট মালিক ও খামারিরা পড়ছেন বিপাকে ।
পশু কিনতে আসা শিক্ষক রাকিবুল হাসান বলেন,আমি ৭ ভাগে কোরবানি দেয়ার উদ্দেশ্যে একটি গরু কিনতে এসেছি । এ হাটে অনেক গরু দেখলাম কিন্তু আমার চাহিদার তুলনায় দাম অনেক বেশি তাই কিনতে পারছি না । আমি বিভিন্ন গ্রামে গরু দেখেছি সেখানে তুলনামুলক দাম কম কিন্তু সেই গরু হাটে কিনতে আমার আরো ১০ হাজার টাকা বেশি লাগছে । তাই ভাবছি গ্রামের কোনো খামারির কাছ থেকে গরু ক্রয় করবো । ক্রেতা ফারুকুর রহমান বলেন, এবার আমার টার্গেট ১ লাখ ২৫ হাজার টাকার দামের গরু কিন্তু হাটে গরুর দাম খুবই বেশি । আমার গ্রামে গ্রামে ঘুরে অনেক গরু দেখছি কিন্তু হাটে দাম বেশি হওয়ায় গরু মেলাতে পারছি না । সদরের রায় গ্রামের খামারি হাজের আলী বলেন ,আমি বিভিন্ন হাট ঘুরে এবার ইছাখাদা হাটে এসেছি গরু নিয়ে । একটু ভালো দামের আশায় এ হাটে আমার আসা । বর্তমানে আমার গরুটি ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা দাম হয়েছে । তবে আমি ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা হলে ছেড়ে দেব । কিন্তু এ হাটে ক্রেতা কম থাকার কারণে হতাশ হচ্ছি ।
এদিকে , জেলার বিভিন্ন হাটে প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে । সুস্থ পশু নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন হাটে জেলা প্রাণী সম্পদের ভ্রাম্যমাণ টিম কাজ করছে ।