স্পন্দন ডেস্ক : দেশে বর্তমানে খাদ্যদ্রব্য ও জিনিসপত্রের দাম ‘সহনীয় পর্যায়ে’ রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর ওসমানি স্মৃতি মিলনায়তনে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “আপনারা দেখবেন খাদ্যদ্রব্য ও বিভিন্ন জিনিসের মূল্য কিন্তু মোটামুটি সহনীয়। একেবারে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছি না; নেমে গেছে, মোটামুটি সহনীয়।”
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘ধরেন এক হাজার টাকা নিয়ে গেলেন, সেখানে সব জিনিসের দাম কমে গেছে এটা হয় না কোনোদিন। একটা বাড়বে, একটা কমবে..., আমার বাজেটের মধ্যে আছে কিনা সেটা।
“হ্যাঁ ডেফিনেটলি ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে না থাকে, তখন বলবেন যে এমন বিপদে পড়লাম যেটা নিয়ে গেলাম সেটা দিয়ে কোনো কিছুই কিনতে পারলাম না। একটা একটা করে যদি দেখেন, পৃথিবীর কোনো দেশে হয় না প্রত্যেক জিনিসের দাম কমে গেছে বা প্রত্যেক জিনিসের দাম বেড়ে গেছে।”
“আমি বলছি না যে, বাজারটা ভালো। তবে জিনিসপত্রের দাম সহনীয়,” বলেন তিনি।
সোমবার ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৮৯ হাজার ৯৯৯ কোটি টাকার বাজেট উত্থাপন করেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। পরদিন সংবাদ সম্মেলনে এসে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের তিনি জবাব দেন।
বাজেট নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “‘খারাপ দিক’ বলে তো আমি বলব না। আমি বলি যে আরেকটু ভালো হত যদি সম্পদ আমরা বেশি পেতাম, আমাদের দেশীয় সম্পদ যদি বেশি, ট্যাক্স যদি আরও বেশি আদায় করতে পারতাম, ট্যাক্স যদি ফাঁকি না দেওয়া হত, ভ্যাট যদি ফাঁকি না দেওয়া হত, করাপশন যদি না থাকত দেশে, টাকাগুলো (পাচার হওয়া) যদি ফেরত আনতে পারতাম, তখন আমার এই বাজেট সাপোর্টও লাগত না আইএমএফ কিংবা ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের...।
“ওই টাকা দিয়ে কিন্তু আমরা পুরো বাজেটটাই করতে পারতাম। সেই দিক থেকে আমি মনে করি যে এটা আমাদের চ্যালেঞ্জ।”
তিনি বলেন, “খারাপ বলা ঠিক না, ‘লুক এট দ্য ফিলড সাইড অব এ গ্লাস’। গ্লাসের তো কিছু পানি আছে, তৃষ্ণার্তদের জন্য এই পানিটুকু থাক। খালি থাকলে তো মনে হবে কিছুই নাই। কিছু আছে, সেটার মধ্যে আমরা চেষ্টা করি যতটুকু।”
সালেহ উদ্দিন বলেন, “সময়ে কিন্তু দ্রুত যাচ্ছে। অনেকে কোরিয়ার উদাহরণ দেয় ২০ বছর আগে কোরিয়া কী ছিল, ২০ বছর পর কোরিয়ায় অলিম্পিক কোথায় গেল। আমরা কোরিয়া হতে বাধা কোথায়? সেজন্য আমরা সবার সহযোগিতা পেলে ডেফিনেটলি আমরা এগোব।
“আমরা তো সবসময় থাকব না। কিন্তু ভবিষ্যৎ প্রজন্মৃ। গ্রামের মেঠো রাস্তা আস্তে আস্তে কিন্তু হাঁটতে হাঁটতে হাইওয়ে হয়। আমরা মেঠো রাস্তার পার হচ্ছি সরু হাইওয়ের দিকে যাচ্ছি। আস্তে আস্তে এটা প্রশস্ত হবে আগামী দিনে।”