কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি: কুষ্টিয়া শহরের সাফিনা টাওয়ারের গ্যারেজ থেকে উদ্ধারকৃত বিলাসবহুল গাড়িটি সাবেক এমপি আনোয়ারুল আজিম আনারের বলে জানিয়েছেন তার কন্যা মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন। গাড়িটি তিনি আইন ও প্রশাসনের মাধ্যমে ফেরত চান। মঙ্গলবার দুপুরে মুঠোফোনে গণমাধ্যমের কর্মীদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সোমবার রাতে পুলিশ সাফিনা টাওয়ারের গ্যারেজ থেকে কোটি টাকা মূল্যের টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার প্যা রাডো ব্রান্ডের কালো রংয়ের ওই গাড়িটি উদ্ধার করে। ২০২৩ মডেলের টয়োটা ব্র্যান্ডের গাড়িটির নম্বর ঢাকা মেট্রো-ঘ ১২-৬০৬০।
মঙ্গলবার বেলা ১২টায় গাড়ির বিষয়টি জানতে মুঠোফোনে সাবেক এমপি আনোয়ারুল আজিমের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, কুষ্টিয়া শহরের শাফিনা টাওয়ারের গ্যারেজে পুলিশের উদ্ধারকৃত গাড়িটি তার বাবার।
ডরিন আরো বলেন, আমরা গাড়িটি কারো কাছে বিক্রি করিনি। তবে গাড়িটি কে বা কারা কিভাবে নিয়ে গেছে সেটা জানেন না। তিনি বলেন, একজন এমপি হয়েও আমার বাবা নৃশংস ভাবে খুনের শিকার হয়েছে। এরপর থেকে আমাদের পরিবার অনেকটা এলোমেলো হয়ে গেছে। তাদের গাড়ি বা কোথায় কি সম্পদ আছে বা ছিল এখনো পুরোপুরি অনেক কিছুই জানে না । এছাড়াও ৫ আগস্টের ঘটনার পর আমরা আরও অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। তিনি বলেন, ওই গাড়িটা আমার বাবার। আমরা নিজেদের মধ্যে খোঁজাখুঁজি করছিলাম।
ডরিন আক্ষেপের সুরে আরো বলেন, ভারতের কলকাতায় সঞ্জীবা গার্ডেনে আমার বাবার নৃশংস খুনের ঘটনার বছর পেরিয়ে গেছে। অথচ আজও বাবার মৃত্যুর ডেথ সার্টিফিকেট ও ডিএনএ টেস্টের রেজাল্ট পাইনি। যে কারণে বাবার জানাজা নামাজও করা হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে আমার পরিবার মানসিকভাবে একেবারে ভেঙে পড়েছে। এসব কারণে গাড়ির বিষয়টি আমাদের মাথায় ছিল না।
ডরিন আরো বলেন, উদ্ধারকৃত গাড়ির বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কেউ আমাদের সাথে এখনো যোগাযোগ করিনি। তবে আমাদের গাড়িটি বুঝে নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা নেবো বলে জানান তিনি।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশারফ হোসেন গাড়ি উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, কাগজপত্র যাচাই ও তদন্ত চলছে। পরে আরো বিস্তারিত জানা যাবে।
উল্লেখ্য, সোমবার রাতে সাফিনা টাওয়ারের গ্যারেজ থেকে উদ্ধারকৃত গাড়ির ভেতর থেকে পুলিশ সংসদ সদস্যের স্টিকারসহ বেশ কিছু কাগজপত্র জব্দ করে। তার একটি কাগজে মালিক হিসেবে ঝিনাইদহ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের নাম ছিল। ওই টাওয়ারের প্রহরী আলমগীর হোসেন জানান, প্রায় তিন মাস আগে একটি তামাক কোম্পানির দুই কর্মকর্তা গাড়িটি এখানে রেখে যান। তাদের কোম্পানির বায়ারদের জন্য এই ভবনের দুই,তিন ও চারতলায় পাঁচটি ফ্লাট ভাড়া নেয়া আছে।