নিজস্ব প্রতিবেদক: জনবল সংকটে ৬ মাস ধরে বন্ধ বেনাপোল স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের ল্যাব। এতে খাদ্যদ্রব্য ও কৃষি পণ্যের মান নির্ণয় করা যাচ্ছে না।
ফলে আমদানি করা কৃষিজাত পণ্যে কোনো ভাইরাস আছে কি না তা পরীক্ষা করা যাচ্ছে না। এতে ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে দেশের কৃষিখাত। তবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, জনবল নিয়োগে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে।
আমদানিকারকের প্রতিনিধিরা বলছেন, ভারত থেকে যেসব পণ্য আমদানি হয়, এসব পণ্যের মধ্যে বড় একটি অংশ রয়েছে বিভিন্ন ধরনের খাদ্যদ্রব ও কৃষি বীজ। তবে এসব খাদ্যদ্রব্যের গুণগত মান ঠিক আছে কি না, বা বীজ ভাইরাস মুক্ত কি না তা নির্ণয়ের জন্য বেনাপোল বন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রে পরীক্ষা করা হয়। এরপর ছাড়পত্র দেয়া হয়।
বেনাপোল বন্দরে ভারত থেকে প্রতিদিন গড়ে ৪০০টি ট্রাক পণ্য আসে, যার মধ্যে শতাধিক ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের খাদ্যদ্রব্য ও কৃষি বীজ থাকে। এসব পণ্যের গুণগত মান এবং ভাইরাস মুক্ত কি না তা নির্ণয়ের জন্য ল্যাব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ল্যাবে আগে একজন টেকনিশিয়ান কাজ করলেও প্রকল্প শেষ হওয়ার পর তাকে অন্যত্র বদলি করা হয়। ফলে ল্যাব জনশূন্য হয়ে পড়ে এবং মান নির্ণয় কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
বেনাপোল আমদানি-রপ্তানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক বলেন, এখানে আন্তর্জাতিক মানের একটি ল্যাব রয়েছে। জনবলের অভাবে পরীক্ষা করা যাচ্ছে না। আমদানি হওয়া কৃষিপণ্য এখানে পরীক্ষা করাতে না পারায় বাইরে পাঠালে অতিরিক্ত সময় ও খরচ হয়।
দ্রুত জনবল নিয়োগ দিয়ে ল্যাব চালু করার দাবি জানান তিনি।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের বন্দরবিষয়ক সম্পাদক মেহেরুল্লাহ বলেন, ভারত থেকে বিভিন্ন গাছের চারা, ফল ও বীজ আমদানি হয়। ল্যাব অচল থাকায় ভাইরাসযুক্ত কৃষিবীজ আমদানি হওয়ায় ঝুঁকি বাড়ছে। তাই ল্যাব সচল রাখা জরুরি।
যশোর চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মিজানুর রহমান খান জানান, ভারত থেকে বিভিন্ন গাছের চারা, ফল ও বীজ আমদানি হয়। ল্যাব অচল থাকায় ভাইরাসযুক্ত কৃষিবীজ আমদানি হওয়ায় ঝুঁকি থেকে যায়। তাই ল্যাব সচল রাখা জরুরি। কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখার জন্য তিনি আহবান জানান।
বেনাপোল স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপপরিচালক মিজানুর রহমান জানান, তাদের আন্তর্জাতিক মানের ল্যাব রয়েছে। একজন মাননির্ণায়ক টেকনিশিয়ান দীর্ঘ ৬ মাস আগে বদলি হওয়ায় ল্যাব বন্ধ রয়েছে। ভাইরাসযুক্ত বীজ দেশে প্রবেশ করলে কৃষিক্ষেত্রে বড় ক্ষতি হতে পারে। বর্তমানে সন্দেহভাজন বীজ পরীক্ষায় দেরি হচ্ছে, যা পণ্যের ছাড়করণ প্রক্রিয়ায় বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।