নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোরের শার্শায় শত্রুতার জেরে লিটন হোসেন (৩০) নামে এক বিএনপি কর্মীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার লক্ষ্মণপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী দুর্গাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত লিটন দুর্গাপুর গ্রামের আজগর আলীর ছেলে।
লিটন হত্যায় তাঁর বাবা আজগার আলী শার্শা থানায় ১৮ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন শার্শার লক্ষণপুর গ্রামের আকবার আলী ও সামসের আলী।
স্থানীয়রা জানান, রাত ৯টার দিকে লিটন বাজারে বসে চা খাচ্ছিলেন। এ সময় ওই এলাকার সেলিম ও রমজান তার ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায় এবং কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে।
এ সময় তার চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে তার স্বজনরা খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যান। সেখানে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়।
নিহতের বাবা আজগর আলী বলেন, স্থানীয় আব্দুল মমিন, সেলিম হোসেন ও রমজান আলীর সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল আমার ছেলে লিটনকে তারা এর আগেও কয়েকবার মারধরও করেছে। ঈদের আগের দিন বাগবিতণ্ডা ও ধাক্কাধাক্কি হয়। এসবের জেরে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানান পিতা আজগর আলী।
নাভারন সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার নিশাত আল নাহিয়ান বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে শত্রুতার জেরে লিটনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
শার্শা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান লিটন বলেন, নিহত লিটন বিএনপির একজন সক্রিয় কর্মী। শত্রুতার জেরে সেলিম ও রমজানসহ ৩/৪ জন সন্ত্রাসী তাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। আমি এই হত্যার সুষ্ঠু বিচার চাই।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম জানান, হত্যার খবর জানতে পেরে তিনি পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গ্রামে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।