শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি : সাম্প্রতিক কালে সুন্দরবনে দস্যুদের আনাগোনা বেড়েছে। গত ৩ সেপ্টেম্বর সুন্দরবনের আদাছগি এলাকায় মাছ ও কাঁকড়া ধরার সময় সুন্দরবনের কুখ্যাত বনদস্যু রাঙ্গাবাহিনীর সদস্যরা মুক্তিপণের দাবিতে ৯ জেলেকে অপহরণ করে। ১২ সেপ্টেম্বর সকালে কোস্টগার্ড অভিযান চালিয়ে জিম্মি হওয়া ৯ জেলেদের উদ্ধার করে। এসময় অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ রাঙা বাহিনীর দুই সদস্যকে আটক করতে সক্ষম হয়।
কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম- উল- হক বলেন, গোপন সংবাদে তারা জানতে পারে সুন্দরবনের কুখ্যাত বনদস্যু রাঙ্গাবাহিনীর সদস্যরা ৯ জেলেকে দাবিতে অপহরণ করে রেখেছে।
এমন তথ্যের ভিত্তিতে ১২ সেপ্টেম্বর শুক্রবার ভোর ৫ টায় কোস্ট গার্ড মোংলা জোনের একটি দল ওই এলাকায় অভিযান চালায়।এ সময় বনদস্যুরা কোস্ট গার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টা করে। পরবর্তীতে কোস্টগার্ড তাদের ধাওয়া করে বনদস্যু রাঙ্গাবাহিনীর দুই সদস্যকে আটক করে। এসময় তল্লাশি চালিয়ে ২ টি একনলা বন্দুক, ২ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ৮ রাউন্ড ফাঁকা কার্তুজ, ৩ টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র ও সরঞ্জামাদি উদ্ধার করে। এছাড়া দস্যদের হাতে জিম্মি থাকা ৯ জেলেকে উদ্ধার করে কোস্টগার্ড। উদ্ধারকৃত জেলেদের বাড়ি খুলনা জেলার দাকোপ থানার বিভিন্ন এলাকায় বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে আটককৃত দস্যুরা হলো রাঙা বাহিনীর সহযোগী নাসির মোল্লা (৩১) এবং মিন্টু সরদার (৪০)। তারা জানায়, তাদের বাড়ি বাগেরহাট এবং খুলনা জেলায়। তারা দীর্ঘদিন যাবৎ রাঙ্গা বাহিনীর সঙ্গে ডাকাতি এবং ডাকাত দলকে অস্ত্র,গোলাবারুদ ও রসদ সরবরাহের মাধ্যমে সহযোগিতা করে আসছিলো।
এ ব্যাপারে কোস্টগার্ড পশ্চিমজনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মুনতাসির ইবনে মহসিন বলেন, উদ্ধার হওয়া জেলেদের তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এছাড়া আটককৃত ডাকাত ও জব্দকৃত আগ্নেয়াস্ত্র পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত করতে কোস্ট গার্ড ভবিষ্যতেও এধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে।