নিজস্ব প্রতিবেদক: ক্ষুদ্রঋণের জামানতের চেক ফেরত দিচ্ছেনা সাতক্ষীরার নওয়াবেকী গণমুখী ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ। ঋণের টাকা পরিশোধ করা হলেও তারা চেক ফেরত দিতে তালবাহানা করছে। এ দিয়ে নওয়াবেকীর কর্মকর্তারা বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে বলে আশাঙ্কা ঋণ গ্রহিতার। সোমবার প্রেসক্লাব যশোরে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ঝিকরগাছার শংকরপুর গ্রামের ঋণ গ্রহিতা খাদিজা বেগমের পরিবার।
লিখিত বক্তব্যে খাদিজার মেয়ে সারমিন আক্তার হীরা জানান, আমার ভাই রাশিয়া প্রবাসী। আমি ও আমার স্বামী বিদেশে যাওয়ার সময় টাকার প্রয়োজন হয়। এ সময় আমার মা খাদিজা বেগম সাতক্ষীরা থেকে পরিচালিত নওয়াবেকী গণমুখী ফাউন্ডেশনের শার্শার বাগআচড়া শাখা অফিস থেকে ২০২২ সালের ২০ জুন ২ লাখ টাকা ঋণ গ্রহণ করেন। এ ঋণের জামানত হিসেবে ফাউন্ডেশনের কর্তৃপক্ষকে সাক্ষরিত দুইটি চেক জামানত হিসেবে দিতে হয়। ঋণের কিস্তির টাকা পরিশোধ হলে জামানতে চেক ফেরত চাইলে পুনরায় ঋণ গ্রহণ করতে বলেন শাখা ব্যবস্থাপক। আমার মা পুনরায় ৬০ হাজার টাকা ঋণ গ্রহণ করে এবং জামানত হিসেবে আরও দুইটি অলিখিত স্বাক্ষর করা চেক দেন শাখা ব্যবস্থাপক জহিরুলকে। এ ঋণ পরিশোধ হলে চেক ফের না দিতে তারা ঘোরাতে থাকেন।
তিনি বলেন, আমাদের আত্মীয় ইব্রাহিম খলিলকে শাখা ব্যবস্থাপক জহিরুল ঋণ না দিয়ে আমার মায়ের মাধ্যমে ঋণ গ্রহণ করে টাকা ধার হিসেবে নিতে বলেন। ইব্রাহিম খলিল নিকট আত্মীয় হওয়ায় ২০২৪ সালের ২৫ আগস্ট ৩ লাখ টাকা ঋণ গ্রহণ ও জামানত হিসেবে আরও দুইটি চেক জমা দেন শাখা ব্যবস্থাপক জহিরুলের কাছে। তিনটি ঋণের বিপরীতে ৬ চেক জামানত হিসেবে দেয়া হয়। এ ঋণের টাকা পরিশোধ হলে ৬ চেক ফেরত চাওয়া হয় কর্তৃপক্ষের কাছে। নওয়াবেকী কর্তৃপক্ষ চেক ফের না দিয়ে তালবাহানা ও হুমকি দিচ্ছেন। নওয়াবেকী কর্তৃপক্ষ যাতে চেকগুলি ফের দেয় সে ব্যাপারে তিনি প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন খাদিজা বেগম ও তার স্বামী আব্দুর রহমান, কামরুল ইসলাম প্রমুখ।