শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি : নিখোঁজের প্রায় ৩৬ ঘণ্টা পর উদ্ধার হল পর্যটক কিশোর মুহিদ আব্দুল্লাহর (১৬) এর মরদেহ। রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪ টার দিকে পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের কচিখালী অভয়ারণ্য কেন্দ্রে ডিমের চরের দক্ষিণ পাশের নদীতে ভাসমান অবস্থায় জেলেরা মরদেটি দেখতে পায়। পরে কোস্ট গার্ড ও বন বিভাগের সদস্যরা মরদেহ উদ্ধার করেন। বন বিভাগের পক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে কচিখালী ডিমের চরে নদীতে নেমে সাঁতার কাটার সময় স্রোতের ঢেউয়ে ভেসে যায় আব্দুল্লাহ। এর পর থেকে কোস্ট গার্ড ও বন বিভাগের সদস্যরা যৌথভাবে তল্লাশি অভিযান শুরু করেন।
নিহত মুহিদ আব্দুল্লাহ ঢাকার মোহাম্মদপুর শেখেরটেক এলাকার বাসিন্দা।
পর্যটক ডা. সুলতান মাহামুদ বলেন, তার স্ত্রী ও চার ছেলেসহ ঢাকার বিভিন্ন এলাকার মোট ৭৫ জনের একটি পর্যটক দল এমভি দ্য এক্সপ্লোরার নামের একটি জাহাজে সুন্দরবন ভ্রমণ করতে আসেন। সুন্দরবনের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ভ্রমণের কথা ছিলো তাদের। কিন্তু আকস্মিক দুর্ঘটনায় তাদের সবকিছু তছনছ হয়ে যায়। ভ্রমণ স্থগিত করে সবাই ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন।
পর্যটক আল আমীন জানান, ছেলেকে হারিয়ে মা লিমা বেগম দিশেহারা হয়ে পড়েছেন । অন্য পর্যটকরাও শোকে বিহ্বল হয়ে পড়েছেন। আনন্দ উপভোগ করতে এসে বিষাদের ছোঁয়া নিয়ে ফিরে গেছেন পর্যটকরা।
পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা স্টেশন কর্মকর্তা মো. খলিলুর রহমান জানান, বিকেল ৪টার দিকে ডিমের চরের ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দক্ষিণে কিশোর মুহিদ আব্দুল্লাহ মরদেহটি ভেসে ওঠে। নদীতে মাছ ধরারত জেলেরা দেখে উদ্ধারকারীদের খবর দেন। পরে কোস্ট গার্ড ও বন বিভাগের কর্মীরা মরদেহটি উদ্ধার করেন।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগ বাগেরহাটের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ডিএফও মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, নিখোঁজ কিশোর পর্যটকের মরদেহটি উদ্ধার হয়েছে। মরদেহ কোস্ট গার্ডের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। কোস্ট গার্ড এ ব্যাপারে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন মোংলা সদরদপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেন, উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা কিশোরের মরদেহটি নিয়ে মোংলা সদর দপ্তরে রওনা হয়েছেন। এখানে পৌঁছানোর পর আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে মরদেহটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।