বাজারে ইলিশের সরবরাহ বাড়লেও দাম কমেনি

এখন সময়: শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল , ২০২৪, ০৬:০২:০৭ এম

মুর্শিদুল আজিম হিরু : যশোরো বাজারে ইলিশ মাছের সরবরাহ বেড়েছে। তবে এখনো দাম কমেনি আশানুরুপ। তাই অন্যান্য মাছের দামও অনেক বেশি। এরমধ্যে দাম কমেছে মরিচের। সবজি, আলু, পেঁয়াজ-রসুন, চাল, ডাল, ভোজ্য তেলের দাম আগের মত আছে। বৃহস্পতিবার শহরের বড় বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

ইলিশ মাছের সরবরাহ বেড়েছে। দাম অনেক বেশি। ইলিশ মাছের দাম না কমায় অন্যান্য মাছের দামও অনেক বেশি বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। প্রতি কেজি বড় সাইজের ইলিশ মাছ বিক্রি হয় ১ হাজার থেকে ১২শ’ টাকা কেজি। সাড়ে ৫শ’ টাকা থেকে ৭শ’ টাকা কেজি বিক্রি হয় মাঝারি সাইজের ইলিশ। প্রতি কেজি জাটকা ইলিশ বিক্রি হয় ৪শ’ টাকা থেকে সাড়ে ৪শ’ টাকা। রুই মাছ বিক্রি হয় ১শ’৬০ টাকা থেকে ২শ’৪০ টাকা কেজি। প্রতি কেজি কাতল মাছ বিক্রি হয় ২শ’২০ টাকা কেজি। মৃগেল মাছ বিক্রি হয় ১শ’৫০ টাকা থেকে ১শ’৮০ টাকা কেজি। প্রতি কেজি তেলাপিয়া মাছ বিক্রি হয় ১শ’৩০ টাকা থেকে ১শ’৫০ টাকা কেজি। ১শ’৫০ টাকা থেকে ১শ’৬০ টাকা কেজি বিক্রি হয় চিলবারকার্প। প্রতি কেজি পাবদা মাছ বিক্রি হয় সাড়ে ৩শ’ টাকা কেজি। ২শ’২০ টাকা থেকে সাড়ে ৩শ’ টাকা কেজি বিক্রি হয় শিং মাছ।

বাজারে সবজির দাম আগের মত আছে। প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হয় ৪০ টাকা। ৩০ টাকা কেজি বিক্রি হয় কুমড়া। প্রতি কেজি কুশি বিক্রি হয় ৩০ টাকা। ৩০ টাকা কেজি বিক্রি হয় ধেঢ়স। প্রতি কেজি পটল বিক্রি হয় ২০ টাকা। ৩০ টাকা কেজি বিক্রি হয় কচুরমুখি। প্রতি কেজি পেঁপে বিক্রি হয় ২০ টাকা। ৪০ টাকা থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হয় করোলা। প্রতি কেজি ডাটা বিক্রি হয় ২০ টাকা। ১৫ টাকা কেজি বিক্রি হয় পুঁইশাক। প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হয় ৫০ টাকা। ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হয় কচুরলতি। প্রতি কেজি কলা বিক্রি হয় ৩০ টাকা। ২০ টাকা কেজি বিক্রি হয় ধুন্দল। প্রতি কেজি ঝিঙে বিক্রি হয় থেকে ৫০ টাকা। ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হয় কাঁকরোল। প্রতি কেজি বরবটি বিক্রি হয় ৪০ টাকা কেজি। ২০ টাকা পিচ বিক্রি হয় লাউ। ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হয় ওল।

বাজারে মরিচের দাম কমেছে। পেঁয়াজ-রসুন ও আলুর দাম আগের মত আছে। প্রতি কেজি মরিচ বিক্রি হয় ৮০ টাকা থেকে ১শ’ টাকা।  ৪৫ টাকা থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হয় পেঁয়াজ। প্রতি কেজি রসুন বিক্রি হয় ৪০ টাকা থেকে ৭০ টাকা কেজি। আমদানিকৃত রসুন বিক্রি হয় ১শ’২০ টাকা। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হয় ১৮ টাকা থেকে ২০ টাকা কেজি।

বাজারে ভোজ্য তেলের দাম বাড়েনি। প্রতি কেজি সয়াবিন তেল বিক্রি হয় ১শ’৩০ টাকা। ১শ’২০ টাকা থেকে ১শ’২৫ টাকা কেজি বিক্রি হয় সুপার পাম তেল। প্রতি কেজি পাম তেল বিক্রি হয় ১শ’২০ টাকা। ১৪৫ টাকা লিটার বিক্রি হয় বিভিন্ন কোম্পানির বোতলজাত সয়াবিন তেল।

বাজারে ডালের দাম আগের মত আছে। প্রতি কেজি দেশি মসুর ডাল বিক্রি হয় ১শ’ টাকা থেকে ১শ’১০ টাকা। ৭০ টাকা থেকে ৭৫ টাকা কেজি বিক্রি হয় আমদানিকৃত মসুর ডাল। প্রতি কেজি ছোলার ডাল বিক্রি হয় ৭০ টাকা। ৪২ টাকা থেকে ৪৪ টাকা কেজি বিক্রি হয় বুটের ডাল। প্রতি কেজি মুগের ডাল বিক্রি হয় ১শ’ টাকা থেকে ১শ’৩৫ টাকা। ৬৫ টাকা থেকে ৭০ টাকা কেজি বিক্রি হয় কলাইয়ের ডাল।

বাজারে চালের দাম বাড়েনি। প্রতি কেজি রতœা চাল বিক্রি হয় ৪২ টাকা থেকে ৪৫ টাকা। ৪৮ টাকা থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হয় বিআর-২৮ ও কাজল লতা চাল। প্রতি কেজি মিনিকেট চাল বিক্রি হয় ৫২ টাকা থেকে ৫৬ টাকা। ৫৮ টাকা থেকে ৬৪ টাকা কেজি বিক্রি হয় বাশমতি চাল।