মহেশপুরে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে কু-প্রস্তাব, শিক্ষকের ক্ষমা প্রার্থনা

এখন সময়: মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল , ২০২৪, ০৭:৪৪:২৮ এম

নিজস্ব প্রতিবেদক, মহেশপুর : মহেশপুর উপজেলার সূর্যদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণি কক্ষে ৩য় শ্রেণির এক ছাত্রীকে সহকারী শিক্ষক আব্দুর রশিদ অশালীন কথা ও কু-প্রস্তাব দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি জানাজানি হলে কয়েক দিনের মধ্যে স্কুল ম্যানেজিং কমিটি ও শিক্ষকসহ একজন ইউপি সদস্যদের সমন্বয়ে সালিশ বৈঠক বসে। বৈঠকে সহকারী শিক্ষক আব্দুর রশিদ ভুল স্বীকার করে উপস্থিত সকলের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।

এলাকাবাসী জানান, গত কয়েকদিন পূর্বে শ্রেণি কক্ষের ভিতরে ৩য় শ্রেণির এক ছাত্রীকে অশালীন কথা বলেন এবং এক পর্যায়ে ঐ ছাত্রীকে কু-প্রস্তাব দেন স্কুলের সহকারী শিক্ষক আব্দুর রশিদ। ঘটনার দু’দিন পর স্কুল পাড়ায় বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। এর এক পর্যায়ে এলাকায় বিচার সালিশ বসে।

সূর্যদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুর রশিদ ঘটনাটি স্বীকার করে জানান, গত কয়েক দিন আগে স্কুল ম্যানেজিং কমিটি ও শিক্ষকসহ ইউপি সদস্য জাকির হোসেনের সমন্বয়ে বসা সালিশ বৈঠকে আমি আমার ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছি। তা নিয়ে এখন আবার কি হচ্ছে। সব ঘটনায়ই তো মিটে গেছে।

স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মকলেচুর রহমানের সাথে এ বিষয়ে কথা বলার চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

ইউপি জাকির হোসেন মুঠো ফোনে জানন, সূর্যদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুর রশিদ ৩য় শ্রেণির এক ছাত্রীকে অশালীন কথা ও কু-প্রস্তাবের বিষয়ে স্কুল ম্যানেজিং কমিটি ও শিক্ষকদের সমন্বয়ে বসে এক সালিশ বৈঠক। সালিশ বৈঠকে শিক্ষক আব্দুর রশিদ সকলের কাছে ক্ষমা চেয়েনিয়েছেন।

সূর্যদিয়া সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিপলুর রহমান ঘটনা স্বীকার করে বলেন, এনিয়ে সালিশ বৈঠকে শিক্ষক আব্দুর রশিদ ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন।

সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আফজা উর রহমান জানান, আমি মৌখিক ভাবে ঘটনাটি শুনেছি। তবে এ বিষয়ে কেউ কোনো লিখিতভাবে অভিযোগ করেননি। অভিযোগ করলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।