Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)

রাজীব গান্ধী হত্যায় ৬ আসামির সাজামুক্তির নির্দেশ

এখন সময়: মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই , ২০২৫, ০৩:৩৮:২৭ এম

স্পন্দন ডেস্ক : ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ৬ আসামিকে অবিলম্বে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এই ছয় জন হচ্ছেন, এস নলিনী, আরপি রবিচন্দ্রন, শান্থন, মুরুগান, রবার্ট পায়াস এবং জয়কুমার।
তারা সবাই রাজীব হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে যাবজ্জীবন জেল খাটছেন এবং ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে জেলে আছেন।
বিবিসি জানায়, এই আসামিদের দুইজন নলিনী এবং রবিচন্দ্রন জেল থেকে আগাম মুক্তি পাওয়ার আবেদন জানানোর পর কোর্টের এই নির্দেশ এল।
আদালতের বিচারপতি বিআর গাভাই এবং বিভি নাগারথনার বেঞ্চ গত মে মাসে এই মামলায় মুক্তি পাওয়া আরও এক আসামি এ জি পেরারিভালানের বিষয়টি বিবেচনা করতে গিয়েই শুক্রবার এই নির্দেশ দিয়েছেন।
এ জি পেরারিভালানের মুক্তির পরই নলিনী এবং রবিচন্দ্রন শীর্ষ আদালতে তাদের নিজেদের মুক্তির আবেদন জানিয়েছিলেন।
সুপ্রিম কোর্ট তাদের সাজামুক্তির নির্দেশে বলেছে, জেলে থাকার সময়ে এই বন্দিদের আচরণ ‘সন্তোষজনক’ ছিল। তাদের বিরুদ্ধে অন্য কোনও মামলা না থাকলে তাদেরকে মুক্তি দেওয়া হোক।
১৯৯১ সালের ২১ মে তামিলনাড়ুুর শ্রীপেরমবদুরে একটি নির্বাচনী জনসভায় আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে নিহত হয়েছিলেন ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী। এক নারী তাকে মালা পরিয়েছিলেন। এরপরই বোমা বিস্ফোরণ হয়।
পরে জানা গিয়েছিল, শ্রীলঙ্কার বিদ্রোহী তামিল গোষ্ঠী এলটিটিই-র এক নারী এই হামলা চালিয়েছিলেন। শ্রীলংকার গৃহযুদ্ধে শান্তিরক্ষী পাঠিয়ে ভারতের জড়িত থাকার প্রতিশোধ নিতে এলটিটিই এ হামলা চালিয়েছিল বলে ধারণা করা হয়।
এই হত্যা মামলায় মোট ৪১ জন অভিযুক্ত ছিল। এর মধ্যে ১২ জন মারা যায়। লাপাত্তা হয় ৩ জন। বাকি ২৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
তাদের মধ্যে ভারতীয়দের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার নাগরিকও ছিল। টাডা আইনে শুরু হয়েছিল বিচার। ৭ বছর টাডা আইনে মামলা চলার পর ১৯৯৮ সালের জানুয়ারিতে ২৬ অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিল টাডা আদালত।
এই সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে সুপ্রিম কোর্ট মাত্র ৭ জনের সাজা বহাল রেখেছিল। এই সাতজনের মধ্যে এ জি পেরারিভালান, নলিনীসহ চারজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং বাকি তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অন্যরা সবাই মুক্তি পেয়ে যায়।
২০০০ সালে, নলিনীর মৃত্যুদণ্ড যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে রূপান্তরিত হয়। ওই সময় নলিনী গর্ভবতী থাকায় সোনিয়া গান্ধীর ক্ষমার আবেদনে তার সাজা কমানো হয়। এরপর ২০১৪ সালে, সুপ্রিম কোর্ট পেরারিভালান সহ অন্য তিন জনের মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়।
এবার সুপ্রিম কোর্ট তাদের মুক্তির নির্দেশ দেওয়ায় এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে ভারতের প্রধান বিরোধীদল কংগ্রেস পার্টি।
দলের মুখপাত্র জয়রাম রমেশ এক বিবৃতিতে বলেছেন, “খুনিদেরকে সুপ্রিম কোর্টের মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া যায় না। এটি পুরোপুরি ভুল সিদ্ধান্ত।”
ভারতের তামিলনাড়ুু রাজ্য সরকার এর আগে ২০১৮ সালেই রাজীব হত্যা মামলায় দোষীদের মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিল। রাজ্যপালের মাধ্যমে তৎকালীন রাজ্য সরকারের সেই সিদ্ধান্তপত্র ভারতের রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হয়েছিল। তবে তা মেনে নিতে পারেননি তৎকালীন রাষ্ট্রপতি।

Ad for sale 100 x 870 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
Ad for sale 225 x 270 Position (4)
Position (4)