পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি: পাইকগাছায় শিবসা, মিনহাজ ও ঢাকী নদীর মোহনায় কুমখালীর খুদখালী নদীতে আবারও ভাঙন লেগেছে। নদী গর্ভে চলে গেছে গড়ুইখালী ইউনিয়নের প্রধান সড়কের বিশাল অংশ। বন্ধ হয়ে গেছে যাতায়ত ব্যবস্থা। ৪ ইউনিয়নের ৫২ গ্রামের লাখ লাখ মানুষ জলাবদ্ধতার আতংকে রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার দক্ষিণে সুন্দরবন উপকূল সংলগ্ন এলাকা কুমখালীর খুদখালী এলাকা। শিবসা, মিনহাজ ও ঢাকী নদীর মোহনা বার বার ভাঙনের কারণে প্রায় ৫০ পরিবার ভিটেবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে। ইতোপূর্বে বর্ষা মৌসুমে ভাঙন লাগলেও চলতি বছর লেগেছে গ্রীষ্মকালে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। তবে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস ছালাম কেরু, খুলনা-৬ সংসদ সদস্যের নির্দেশে তাৎক্ষণিক লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে সাময়িক বিকল্প বাঁধ দিয়েছেন বলে তিনি জানান। গত বুধবার প্রায় হাফ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ইউনিয়নের প্রধান পাকা সড়ক ভাঙ্গনের কবলে পড়ে। স্থানীয়রা জানায়, আমাদের আর কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। আগামী বর্ষ মৌসুমেরে আগে কার্যকরী ব্যবস্থা না নেয়া হলে পাইকগাছা উপজেলার গড়ইখালী, চাঁদখালী, কয়রা উপজেলার আমাদী ও মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের ৫২ গ্রামের লাখ লাখ লোক জলাবদ্ধতার শিকার হবে এমন আতঙ্কে রয়েছে। স্থানীয় সেলিম শেখ জানান বিগত প্রাকৃতিক দুর্যোগ আইলার পর থেকে প্রতি বছর আমরা ভাঙনের কবলে পড়েছি। কর্তৃপক্ষ বালির বস্তা ফেলে সাময়িক বন্ধ করলেও স্থায়ী কোনো সমাধানের ব্যবস্থা নেয়নি। খুলনা-৬ সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবু বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের জেলা কর্মকর্তাদের বিষয়টি অবহিত করার পর তারা সম্প্রতি ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছেন। দ্রুত ভাঙ্গনরোধে কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়া হবে।