হেরোইনের দুই মামলায় যশোরে তিনজনের যাবজ্জীবন

এখন সময়: শনিবার, ২৭ জুলাই , ২০২৪, ০৯:৪৫:০৫ এম

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: হেরোইনের দুই মামলায় শার্শা ও বেনাপোলের তিন ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাদের অর্থদণ্ডও দেয়া হয়। মঙ্গলবার বিশেষ দায়রা জজ ও বিশেষ জজ (জেলা ও দায়রা জজ) আদালতের বিচারক মোহাম্মদ সামছুল হক ও অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক তাজুল ইসলাম আলাদা রায়ে এ আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্পেশাল পিপি সাজ্জাদ মোস্তফা রাজা ও অতিরিক্তি পিপি আসাদুজ্জামান।

সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলো, শার্শার কায়বা গ্রামের মৃত ইজ্জত আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম রফিক, বেনাপোলের সাদীপুর গ্রামের মাঝের পাড়ার মৃত আলী বক্সের ছেলে সিরাজুল ইসলাম কালু ও নড়াইল সদরের মির্জাপুর গ্রামের সামছুর রহমানের ছেলে শোয়াইব ওরফে শোয়েব।

মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ২ জানুয়ারি শার্শা থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কায়বা গ্রামে অভিযান চালায়। এ সময় বাড়ির সামনে থেকে রফিকুল ইসলাম রফিককে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক ও তার হাতে থাকা ব্যাগ তল্লাশি করে ৫টি পলিথিনের প্যাকেটে ১ শ’ গ্রাম করে ৫শ’ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় এসআই বাবুল আক্তার আটক রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে থানায় মামলা করেন।

এ মামলার তদন্ত শেষে ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় আসামি রফিককে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মুরাদ হোসেন। দীর্ঘ সাক্ষী গ্রহণ শেসে আসামি রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত রফিকুল ইসলাম কারাগারে আটক।

অপরদিকে, ২০১৫ সালের ১৫ মে বেনাপোল থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাদীপুর গ্রামে অভিযান চালায়। এ সময় সাদীপুর ব্রিজের সামনে মেসার্স মায়ের দোয়া স্টোরের সামনে থেকে সন্দেহভাজন হিসেবে সিরাজুল ইসলাম কালুকে আটক করে। তার দেহ তল্লাশি করে লুঙ্গির সাথে কোমরে রাখা ১ কেজি হেরোইন উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় এসআই দীন মোহাম্মদ আটক আসামি সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে থানায় মামলা করেন। এ মামলার তদন্ত শেষে আটক আসামির দেয়া তথ্য যাচাই বাছাই করে ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় আটক সিরাজুল ইসলাম ও শোয়াইবকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মনিরুল ইসলাম।

দীর্ঘ সাক্ষী গ্রহণ শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাদের প্রত্যেকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাস করে কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত শোয়াইব পলাতক।