যশোর জেনারেল হাসপাতালে অবজারভেশন ওয়ার্ড তালাবদ্ধ!

এখন সময়: শনিবার, ২৭ জুলাই , ২০২৪, ০৬:০২:৫২ এম

 

বিল্লাল হোসেন: ভর্তির আগে রোগীকে পর্যবেক্ষণের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে একটি ‘অবজারভেশন ওয়ার্ড’রয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি; না কি শুধুমাত্র ব্যবস্থাপত্র দেয়া হবে সেটি নির্ণয়ে ওয়ার্ডটি চালু করা হয়। সামান্য অসুস্থতায় অপ্রয়োজনে হাসপাতালে রোগী ভর্তি হ্রাসে এ উদ্যোগ নেয়া হয়। কিন্তু ওয়ার্ডটি এখন তালাবদ্ধ ও কোন কার্যক্রম নেই।

সরেজমিন দেখা যায়, ওয়ার্ডটিকে কোনো চিকিৎসা সরঞ্জাম নেই। জরুরি বিভাগের এক কোণে দুটি বেড বসানো হয়েছে। পর্যবেক্ষণ কক্ষের দরজা তালাবদ্ধ।

সংশ্লিস্ট সূত্রে জানা গেছে, পর্যবেক্ষণ ওয়ার্ডে রেখে প্রাথমিক চিকিৎসার পর রোগী সুস্থ হলে ভর্তি না করে বাড়িতে পাঠিয়ে দিতে হবে। ওয়ার্ডটি চালুর পর কর্তব্যরতদের এমন নির্দেশ দিয়েছিল ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। ২০১৭ সালের মার্চ মাসে স¦াস্থ্য অধিদপ্তর থেকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে পর্যবেক্ষণ ওয়ার্ড  তৈরির নির্দেশনা পত্র আসে।

ওই নির্দেশনা পত্রে উল্লেখ করা হয়, জরুরি বিভাগে আসা সব রোগীকে ভর্তি করা যাবে না। রোগীর শারীরিক অবস্থা বুঝে দায়িত্বরত চিকিৎসকের পরামর্শে ভর্তি করতে হবে। ভর্তির আগে রোগীকে পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিভাগের চিকিৎসককে অনকলে ডাকতে হবে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর কয়েক ঘন্টা পর্যবেক্ষণে রেখে যদি শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়; তাহলে ভর্তি না করে ব্যবস্থাপত্র দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দিতে হবে। এতে ওয়ার্ডে বাড়তি রোগীর চাপ কমে যাবে।

এমন নির্দেশনার পর তখনকার ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ডা. আব্দুর রহিম মোড়লের নির্দেশে ওই বছরের ২০ মার্চ  অর্থোপেডিক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. গোলাম ফারুককে সভাপতি করে ৪ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি জরুরি বিভাগে পর্যবেক্ষণ ওয়ার্ড কীভাবে তৈরি করা যায় সে বিষয়ে বিভিন্ন দিক উল্লেখ করে প্রতিবেদন দেয়।

সেই প্রতিবেদন অনুযায়ী, জুলাই মাসে জরুরি বিভাগে অবজারভেশন ওয়ার্ড তৈরি করা হলেও কার্যক্রম ছিলো না।  এদিকে, ২০২০ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি  হাসপাতালের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক ডা. দিলীপ কুমার রায়ের নির্দেশে পর্যবেক্ষণ ওয়ার্ডে চিকিৎসা ব্যবস্থা চালু করা হয়। দুটি শয্যায় রোগীদের পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছিলো তখন। কিন্তু পর্যবেক্ষণ ওয়ার্ডটি এখন বন্ধ আছে। 

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হারুন অর রশিদ জানান, গুরুতর অসুস্থ নয়, এমন রোগীকে পর্যবেক্ষণে রাখতে নির্দেশনা দেয়া আছে। কিন্ত পর্যবেক্ষণ ওয়ার্ডে রোগী না রাখার বিষয়টি জানা নেই।  খোঁজ নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।