শীতকালিন সবজির ভরা মৌসুমেও দাম চড়া

এখন সময়: সোমবার, ২৯ এপ্রিল , ২০২৪, ০৯:১৫:০৭ পিএম

 

মুর্শিদুল আজিম হিরু : শীতকালিন সবজির ভরা মৌসুমে উচ্চ দামে নাকাল ক্রেতারা। গত কয়েক দিনের ব্যবধানে প্রকার ভেদে সবজির দাম কেজিতে দ্বিগুন বৃদ্ধি পেয়েছে। অপরিবির্তিত আছে চাল, ডাল, মরিচ, ও ভোজ্য তেলের দাম। বৃহস্পতিবার শহরের বড় বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

বাজারে শীতকালিন সবজির কমতি নেই। তারপরও দাম ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। মাঝে তিনদিনের টানা বর্ষায় সবজির ব্যপক ক্ষতি হয়েছে। ফলে সবজির সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বেড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।    প্রতি কেজি ফুল কপি বিক্রি হয় ৫৫ টাকা থেকে ৬০ টাকা। ৫৫ টাকা থেকে ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হয় শিম। প্রতি কেজি পেঁয়াজের কালি বিক্রি হয় ৪০ টাকা কেজি। ৭০ টাকা থেকে ৮০ টাকা কেজি বিক্রি টমেটো। প্রতি কেজি ওল কপি বিক্রি হয় ৪০ টাকা কেজি। ৩০ টাকা কেজি বিক্রি হয় বাধা কপি। প্রতি কেজি পালংশাক বিকি হয় ৩০ টাকা কেজি।  ৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হয় মেটে আলু। প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হয় ৬০ টাকা থেকে ৭০ টাকা। ৮০  টাকা কেজি বিক্রি হয় উচ্ছে। প্রতি কেজি বরবটি বক্রি হয় ৬০ টাকা। ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হয় পটল। প্রতি কেজি কুমড়া বিক্রি হয় ৪০ টাকা। ৩০ টাকা কেজি বিক্রি হয় কলা। প্রতি কেজি কচুরলতি বিক্রি হয় ৫০ টাকা। ২০ টাকা কেজি বিক্রি হয় মুলা।

বাজারে দেশি নতুন পেঁয়াজ ও আলুর আমদানি বেড়েছে। তারপরও পেঁয়াজের দাম আগের মত আছে আর নতুন আলুর সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পুরাতন আলুর দাম। প্রতি কেজি দেশি নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হয় ১০০ টাকা। ১২০ টাকা থেকে ১৩০ টাকা কেজি বিক্রি হয় পুরাতন দেশি পেঁয়াজ।  প্রতি কেজি দেশি-বিদেশি রসুন বিক্রি হয় ২২০ টাকা থেকে ২৬০ টাকা কেজি। ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হয় নতুন-পুরাতন আলু। প্রতি কেজি মরিচ বিক্রি হয় ৮০ টাকা।

বাজারে সরকার নির্ধারিত দাম পাওয়া যাচ্ছে ভোজ্য তেল। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হয় ১৭০ টাকা। আবার ১৭০ টাকা কেজি বিক্রি হয় খোলা সয়াবিন তেল। প্রতি কেজি সুপার পাম তেল বিক্রি ১৪০ টাকা। ১৩৫ টাকা কেজি বিক্রি হয় পাম তেল।

বাজারে ঊর্ধ্বদামে অপরিবর্তিত আছে চাল। প্রতি কেজি স্বর্ণা চাল বিক্রি হয় ৪৬ টাকা থেকে ৪৮ টাকা। ৫০ টাকা থেকে ৫২ টাকা কেজি বিক্রি হয় বিআর-২৮ চাল। প্রতি কেজি বিআর ৪৯-চাল বিক্রি হয় ৫০ টাকা থেকে ৫২ টাকা। ৪৮ টাকা থেকে ৫২ টাকা কেজি বিক্রি হয় বিআর-১০ চাল বিক্রি । প্রতি কেজি মিনিকেট চাল বিক্রি হয় ৫৪ টাকা থেকে ৫৬  টাকা। ৬৬ টাকা থেকে ৬৮ টাকা কেজি বিক্রি হয় বাংলামতি চাল।

বাজারে ডালের দাম বাড়েনি। প্রতি কেজি দেশি মসুর ডাল বিক্রি হয় ১শ’৩০ টাকা। ১শ’১০ টাকা কেজি বিক্রি হয় আমদানিকৃত মুসুর ডাল। প্রতি কেজি ছোলার ডাল বিক্রি হয় ৯০ টাকা। ৬০ টাকা থেকে ৬৫ টাকা কেজি বিক্রি হয় বুটের ডাল। প্রতি কেজি মুগের ডাল বিক্রি হয় ১শ’ টাকা থেকে ১শ’৩০ টাকা।