নিজস্ব প্রতিবেদক: টাকার বিনিময়ে ভারতে সোনা পাচার করতে গিয়ে ধরা পড়েছেন বলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বেনাপোল ইমিগ্রেশন থেকে আটক মেহেদী হাসান। ১৫ হাজার টাকা বিনিময়ে কুমিল্লার এক ব্যক্তির সোনা নিয়ে ভারতে যাচ্ছিলেন তিনি। শনিবার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সালমান আহমেদ শুভ তার এ জবানবন্দি গ্রহণ শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। মেহেদী কুমিল্লার চান্দিনা থানার জোয়াগ গ্রামের আব্দুল বাতেনের ছেলে। বর্তমানে ঢাকায় বসবাস করেন তিনি।
জবানবন্দিতে মেহেদী জানিয়েছেন, ঢাকার একটি দোকানে চাকরি করতেন। কুমিল্লার এক ব্যক্তির সাথে দোকানে পরিচয় হয় তার। ওই ব্যক্তি তাকে সোনার বার ভারতে নিয়ে যাওয়ার কাজের প্রস্তাব দেন। মেহেদী তার প্রস্তাবে রাজি হলে পাসপোর্ট ও ভিসার ব্যবস্থা করে দেন । মেহেদীকে টঙ্গী দেখা করতে বললে সেখানে যাওয়ার পর ওই ব্যক্তি তার পায়ুপথে দুইটি সোনার বার ঢুকিয়ে দেয়। এরপর মেহেদীকে ১৫ হাজার টাকা দেয়ার কথা বলে বেনাপোলের একটি গাড়িতে তুলে দেয়। মেহেদী বেনাপোল চেকপোস্টের বিজিবির স্ক্যান মেশিনের সামনে গেলে জিজ্ঞাসাবাদের পর সোনার বার দুইটি বের করে দেয়।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, গত ২৯ জানুয়ারি মেহেদী হাসান নামে এক পাসপোর্ট যাত্রী সোনার চালান নিয়ে বেনাপোল ইমিগ্রেশন কাস্টমস দিয়ে ভারতে যাচ্ছে বলে জানতে পারে শুল্ক গোয়েন্দা। বিভাগটির একটি দল মেহেদী হাসানকে আটক করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মেহেদী তার পায়ুপথে দুটি সোনার বার আছে বলে স্বীকার করেন। পরে বার দুটো উদ্ধার করা হয়। যার ওজন ২৩৩ গ্রাম।
এ ঘটনায় আটক মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে বেনাপোল পোর্ট থানায় চোরাচালান দমন আইনে মামলা করেন শুল্ক ও গোয়েন্দা বিভাগের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা ফয়সাল বিন আশিক। এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রাজু আহমম্মেদ আটক মেহেদীকে আদালতের আদেশে তিনদিনের রিমান্ডে নেন। রিমান্ড শেষে শনিবার মেহেদীকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।