বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলায় পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে প্রতিবেশীর হাতে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বিধবা মর্জিনা বেগম (৪০)। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের উত্তর সোনাতলা গ্রামে। মর্জিনা বেগম ওই গ্রামের মৃত সেন্টু হাওলাদারের স্ত্রী। পরবর্তীতে বাড়িতে এসে ক্ষোভে-অপমানে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছে দুই সন্তানের জননী মর্জিনা বেগম। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে শরণখোলা হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
মর্জিনা বেগম জানান, একবছর আগে প্রতিবেশী ধান ব্যবসায়ী দুলাল হাওলাদারকে তিনি এক লাখ টাকা ব্যবসার জন্য দেন। ওই এক লাখ টাকার লাভ হিসেবে বছর শেষে ২৪ মণ ধানের সমপরিমাণ মূল্যের টাকা দেয়ার কথা। কিন্তু বছর শেষ হলেও দুলাল তাকে কোনো টাকা পয়সা না দিয়ে ঘুরাতে থাকেন। শনিবার সন্ধ্যায় টাকা চাইতে গেলে দুলাল টাকা না দিয়ে উল্টো কাঠ দিয়ে মর্জিনা বেগমকে এলোপাতাড়ি পিটিয়েছে। লোকজনের মধ্যে পেটানোয় ক্ষোভে-অপমানে বাড়িতে এসে ঘরের দরজা বন্ধ করে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন মর্জিনা বেগম। প্রতিবেশীরা ঘরের দরজা ভেঙে মর্জিনা বেগমকে উদ্ধার করা হয়। পরে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় মর্জিনাকে।
শরণখোলা উপজেলা হাসপাতালের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. আশফাক হোসেন বলেন, মর্জিনা বেগমের গলায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
সাউথখালী ইউপি ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর হাওলাদার বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। এ ব্যাপারে স্থানীয়ভাবে বসে মীমাংসার চেষ্টা করা হবে।
অভিযুক্ত দুলাল হাওলাদার বলেন, লোকজনের মধ্যে টাকা চাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে মর্জিনাকে কয়েকটি চড়থাপ্পড় দিয়েছি।