প্রথম ধাপে মণিরামপুর ও কেশবপুরসহ ১৫২ উপজেলায় ভোট ৮ মে

এখন সময়: শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪, ০১:৩৮:৫২ পিএম

 

স্পন্দন ডেস্ক: প্রথম ধাপে যশোরের মণিরামপুর ও কেশবপুরসহ দেশের ১৫২টি উপজেলা পরিষদে আগামী ৮ মে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) কমিশন সভা শেষে নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ এ তথ্য জানান। এর আগে সকালে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে কমিশন সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ঘোষিত তাফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমার শেষ সময় ১৫ এপ্রিল, বাছাই ১৭ এপ্রিল, প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ২৩ এপ্রিল এবং ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

এর আগে গত মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বেশ কিছু ক্ষেত্রে সংশোধনী নিয়ে ‘উপজেলা নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা ২০২৪’ জারি করে নির্বাচন কমিশন। নতুন বিধিমালা অনুযায়ী, প্রতীক বরাদ্দের দিন থেকেই নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণা শুরু হবে। সব প্রার্থীকেই অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে হবে।

নির্বাচন কমিশনের পরিকল্পনা অনুযায়ী দ্বিতীয় ধাপের ভোট ২৩ মে তৃতীয় ধাপের ২৯ মে ও এবং চতুর্থ ধাপে ৫ জুন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হবে। এসব উপজেলায় চেয়ারম্যান, সাধারণ ভাইস চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান পদে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের এ সাধারণ নির্বাচন হবে।

১৫২টি উপজেলার মধ্যে ৯টি জেলার ২২টি উপজেলায় ভোট হবে ইভিএমে। জেলাগুলো হলো- কক্সবাজার, শরীয়তপুর, চাঁদপুর, জামালপুর, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, যশোর, পিরোজপুর ও মানিকগঞ্জ। বাকি ১৩০টি উপজেলার ভোট হবে কাগজে ব্যালটে।

খুলনা বিভাগ: মেহেরপুর জেলার সদর ও মুজিবনগর; কুষ্টিয়া জেলার খোকসা, সদর ও কুমারখালী; চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর ও দামুড়হুদা, ঝিনাইদহ জেলার সদর ও কালীগঞ্জ; যশোর জেলার মণিরামপুর (ইভিএম) ও কেশবপুর (ইভিএম); মাগুরা জেলার সদর ও শ্রীপুর; নড়াইল জেলার কালিয়া; বাগেরহাট জেলার সদর, রামপাল ও কচুয়া; সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ ও শ্যামনগর।

প্রসঙ্গত, মে মাসে চার ধাপে দেশের ৪৮১টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন করবে ইসি। এরমধ্যে প্রথম ধাপের ভোটের তফসিল ঘোষণা করা হলো। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ইতিমধ্যে জানিয়েছে, তারা এবার স্থানীয় সরকারের কোনও নির্বাচনে দলীয় প্রতীক দেবে না। অন্যদিকে সংসদ নির্বাচন বর্জন করা বিএনপির দলীয়ভাবে স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সম্ভাবনা কম। ফলে এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হবে মূলত স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে।

সংশোধিত নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা অনুযায়ী, এখন এই নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে কোনও সমর্থনসূচক তালিকা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। এছাড়া এবছর প্রার্থীরা রঙিন পোস্টারও ছাপাতে পারবেন। প্রচারণার সময়ও পাচ্ছে বেশি। তবে প্রার্থী হতে নতুন বিধিমালায় জামানতের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। নতুন বিধিমালা অনুযায়ী, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ১ লাখ টাকা জামানত দিতে হবে, আর ভাইস চেয়ারম্যান পদে জামানত দিতে হবে ৭৫ হাজার টাকা। আগে উভয়পদে জামানত ছিল ১০ হাজার টাকা।