কেশবপুরে বিষাক্ত কেমিকেল দিয়ে পাকানো কলা বিক্রির অভিযোগ

এখন সময়: শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪, ০৫:৪৩:৫২ পিএম

সিরাজুল ইসলাম, কেশবপুর : কেশবপুরে বিষাক্ত কেমিকেল দিয়ে পাকানো কলা বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। হাটে-বাজারে, ফুটপাতে ও দোকানে দেরারে বিষাক্ত কেমিকেল মেশানো কলা বিক্রি চলছে।
শুক্রবার বিকেলে কেশবপুর শহরসহ উপজেলার হাসানপুর, মঙ্গলকোট, সাগরদাঁড়ি, চিংড়া, ভাণ্ডারখোলা, সাতবাড়িয়া, জাহানপুর কলাগাছি, ভরতভায়না, বগা, পাঁজিয়া ও গৌরিঘোনা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বিষাক্ত কেমিকেল দিয়ে পাকানে কলা বিক্রি করা হচ্ছে।
খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, আড়ত থেকে তারা পাকা কলা কিনে বিক্রি করেন। অধিকাংশ আড়তে বিষাক্ত কেমিকেল দিয়ে কলা পাকানো হয়।
একাধিক কলার বেপারী বলেন, দ্রæত কলা পাকানোর কৌশল হিসেবে ‘প্রমোট’ ও ‘রিপেন’সহ নানা ধরনের কেমিকেল ব্যবহার করেন। ওই কেমিকেল মেশানোর ২৪ ঘন্টার মধ্যেই কলা নরম ও হলদে রং ধারণ করে।
আড়তের এক কর্মচারী নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন, আমাদের এখানে প্রতিদিনই রাতে কাঁচা কলা আসে। আমরা পানিতে ইথিফন দিয়ে সেই পানিতে কলার কাঁদি ডুবিয়ে রাখি। তারপর সেগুলো আবার প্লাস্টিক দিয়ে ঢেকে রাখি। কখনো কখনো আগুন জ্বালিয়ে তাপ দেই। তাতেই কলা পেকে যায়। এক কাঁদি কলা পাকাতে ৫-৬ ঘণ্টা সময় লাগে।
বৃহস্পতিবার কেশবপুর বাজারে কলা কিনতে আসা আবদুল জলিল মোড়ল, মনিরুজ্জামান মনি,শহিদুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান, নুরুল ইসলামসহ একাধিক ব্যক্তি বলেন, আমরা প্রতিদিনই কলা খেয়ে থাকি। আমাদের বাচ্চাদের জন্য পাকা কলা কিনতে হয়। কিন্তু রমজান মাসে দেখছি কলার ভেতর শক্ত থাকে। এক দিনের বেশি রাখলে নষ্ট হয়ে যায়।
কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আলমগীর হোসেন বলেন, বিষাক্ত এসব দাহ্য পদার্থ মিশানো কলা খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। সঙ্গে সঙ্গে বমিভাব ও ডায়রিয়া হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। কেমিকেলে মিশ্রিত কোনো খাদ্য গ্রহণ করলে তার প্রভাব পড়ে লিভার ও কিডনির ওপর।
কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তুহিন হোসেন বলেন এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে খুব দ্রæত আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।