যশোরে অস্ত্র ও মাদক মামলায় তিনজনের কারাদন্ড

এখন সময়: শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪, ০৩:০৭:০৯ পিএম

নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোরে অস্ত্র ও মাদক মামলায় চিহ্নিত সন্ত্রাসীসহ দুইজনকে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড ও পৃথক অপর মাদক মামলায় এক আসামিকে ৫ বছর কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। আসামিরা হলো, যশোর শহরতলীর খোলাডাঙ্গা সলেমান গাজীর ছেলে চিহ্নিত সন্ত্রাসী মানিক গাজী, চৌগাছার ইন্দ্রাপুর বোরাক বিশ্বাসের ছেলে মিজানুর বিশ্বাস ও যশোর শহরের আশ্রমরোড এলাকার আব্দুল আলীমের ছেলে আকাশ। বুধবার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ জুয়েল অধিকারী, সুরাইয়া সাহাব ও শিমুল কুমার বিশ্বাস আলাদা রায়ে এ আদেশ দিয়েছেন।

মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০১২ সালের ২২ সেপ্টেম্বর বিকেলে কোতয়ালি থানা পুলিশ শহরতলীর আরবপুর থেকে একটি বিদেশী পিস্তল ও এক রাউন্ড গুলিসহ চিহ্নিত সন্ত্রাসী মানিক গাজীকে আটক করে। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আসামি মানিক গাজীকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই দেলোয়ার হোসেন খান।

দীর্ঘ সাক্ষী গ্রহণ শেষে আসামি মানিক গাজীর বিরুদ্ধে অভিযোগে প্রমাণিত হওয়ায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ জুয়েল অধিকারী এক রায়ে তাকে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।

অপর দিকে, ২০২২ সালের ১১ মার্চ রাতে চৌগাছার নওদাপুর গ্রাম থেকে মিজানুর বিশ্বাসকে ডিবি পুলিশ আটক করে। এসময় তার কাছ থেকে ৫৫ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় এসআই সাদ্দাম হোসেন বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইননে চৌগাছা থানায় মামলা করেন। দীর্ঘ সাক্ষী গ্রহণ শেষে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ শিমুল কুমার বিশ্বাস এক রায়ে মিজানুর রহমানকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।

এছাড়া, ২০১৪ সালের ১৬ জুন বিকেলে চাঁচড়া পুলিশ ফাঁড়ি সদস্যরা শহরের আশ্রম রোড থেকে ১শ’ পিছ ইয়াবাসহ আশ্রমরোড এলাকার আকাশকে আটক করেন। এ ঘটনায় এসআই জামাল উদ্দীন বাদী হয়ে আকাশসহ শংকরপুর এলাকার আলী আহম্মেদের ছেলে আব্দুর রহিমের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন। এ মামলার তদন্ত শেষে ওই দুইজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।  দীর্ঘ সাক্ষী গ্রহণ শেষে অতিরিক্ত দায়রা জজ সুরাইয়া সাহাব আসামি আকাশের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে ৫ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হগাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। এ মামলার অপর আসামি আব্দুর রহিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় রায়ে তাকে খালাস দেয়া হয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত তিন আসামি জামিনে মুক্তি পেয়ে পলাতক রয়েছে।