বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে হলে সোনার মানুষ হতে হবে : যবিপ্রবি উপাচার্য

এখন সময়: শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪, ০৩:৩৯:০৯ পিএম

প্রেসবিজ্ঞপ্তি: যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়তে হলে সোনার মানুষ হতে হবে। যে নিজের দায়িত্ব সঠিক ও নিষ্ঠার সাথে পালন করে সেই সোনার মানুষ।

বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমিক ভবনের কেন্দ্রীয় গ্যালারিতে বুধবার সকাল ১১টাই মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন” শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন এসব কথা বলেন।

যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই দেশকে স্বাধীন করতে প্রথমে এই জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন, নেতৃত্ব নির্ধারণ করেছেন। তিনি যদি এই জাতিকে সংগঠিত না করতে পারতেন তাহলে এই দেশ কখনো স্বাধীন হতো না। বঙ্গবন্ধু যে সোনার বাংলার কথা বলেছেন সেটি গড়তে হলে সবাইকে সোনার মানুষ হতে হবে। সোনার মানুষ হতে না পারলে সোনার দেশ গড়ে তোলা সম্ভব না।  আমাদের যার যে দায়িত্ব তা যদি আমরা সঠিক ও নিষ্ঠার সাথে পালন না করি তাহলে এই দেশের উন্নয়ন সম্ভব না। দুর্নীতিমুক্ত হয়ে, নিজের দায়িত্ব পালন করে, সোনার মানুষ হয়ে, শেখ হাসিনার হাতকে দৃঢ় করে, যে রক্তের ঋণ আমাদের কাঁধে তা শোধ করে আসুন আমরা সবাই এই দেশকে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলি।

অনুষ্ঠানে মূখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন জগন্নাথ বিশ^বিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান। তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কোনো সামরিক অভ্যুত্থানের বিষয় ছিলো না। দেশ পরিবর্তনের অভ্যুত্থান ছিলো। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মূল উদ্দেশ্য ক্ষমতার পরিবর্তন নয়, দেশকে পাকিস্থানে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়াতে মূল লক্ষ্য ছিলো। যার কারনেই জয় বাংলা স্লোগানকে বাংলাদেশ জিন্দাবাদ করা হয়েছিলো। বঙ্গবন্ধুর তনয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজকের বাংলাদেশকে যে রাজনৈতিক মুক্তি, অর্থনৈতিক মুক্তি ও গণতন্ত্রের মুক্তি দিয়ে দেশকে উন্নয়নের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন আমাদের সবাইকে সেখানে শামিল হতে হবে। বর্তমানের যে অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক বাংলাদেশ সেটাই হচ্ছে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ। এই উন্নয়নের ধারা ধরে রাখতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমরা সংগঠিত হলে এই উন্নয়নের ধারা কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না।

শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল কবীর জাহিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন যবিপ্রবি কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনিছুর রহমান, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মো. কামরুল ইসলাম, প্রধান চিকিৎসক কর্মকর্তা ডা. দীপক কুমার মন্ডল, কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ. কে. এম আরিফুজ্জামান সোহাগ, শিক্ষার্থী আসমা সাদিয়া সুচি প্রমুখ। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিভিন্ন অনুষদের ডিন, চেয়ারম্যান, দপ্তর প্রধান, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দ  উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন শিক্ষক সমিতির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক তানভীর আহমেদ।