ঈদ বাজার 

শেষ মুহূর্তে কেতাদুরস্ত জুতোর খোঁজে ব্যস্ততা ক্রেতাদের

এখন সময়: মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল , ২০২৪, ১১:২৯:০৭ এম

মারুফ কবীর: শেষ পর্যায়ে এখন বেশির ভাগ মানুষের ঈদের কেনাকাটা। পোশাক কেনার পালা ইতিমধ্যে যারা সেরে ফেলেছেন; এখন জুতোর দোকানে ছুটছেন তারা। ঈদের পোশাকের সাথে মানানসই ও কেতাদুরস্ত পাদুকার খোঁজ করছেন। ফলে যশোরে জুতোর দোকানে ভিড় ও বেচাকেনা দুই-ই বেড়েছে। বিশেষ করে ছোটদের জুতা বিক্রি হচ্ছে প্রচুর।

বাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সাথে কথা বলো জানা গেছে, সব ধরনের জুতার দাম বেড়েছে এবার। এক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের ভাষ্য, উপকরণের দাম বৃদ্ধির কারণে জুতার দামও বৃদ্ধি পেয়েছে।

ক্রেতারা বলছেন, জুতা-স্যান্ডেল, লোফার ও কেডস কেনার ব্যাপারে নকশা ও রঙের চমৎকারিত্ব মাথা রেখে পছন্দেরটি বেছে নিচ্ছেন। সেই সঙ্গে গুরুত্ব দিচ্ছেন আরামের বিষয়।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, এপেক্স, বাটা ও লোটোসহ বিভিন্ন নামি ব্র্যান্ডের দোকানে ভিড় প্রচুর। স্থানীয় ব্রান্ড লিবার্টি, বিউটি ও সম্রাট সু নতুন ডিজাইনের জুতা সংগ্রহে রেখেছে।

ইয়াসিন রাব্বি নামে এক ক্রেতা বলেন, ঈদের দিনে সকালে ছেলেদের নিয়ে পাঞ্জাবি-পাজামা পরে ঈদগাহে যাবো নামাজ আদায় করতে। এজন্য পাঞ্জাবির সঙ্গে মানানসই স্যান্ডেল কিনেছি।

সালমা খাতুন নামে আরেক ক্রেতা বলেন, এবার জুতার দাম এতোটাই বেড়েছে, যা ক্রেতাদের  পক্ষে কেনার ক্ষমতার বাইরে। ঈদের আনন্দ এখন আর মধ্যবিত্ত পরিবারের নেই। শাড়ি ও জামার সঙ্গে পরতে পারবো; সেরকম মানানসই এক জোড়া স্যান্ডেল কিনলাম।

একটি জুতার দোকানের  বিক্রয়কর্মী জানান, ঈদে নানা রঙের জুতা চলে। এবার কালো, বাদামি ও ঘিয়ে রঙের জুতা বেশি চলছে। লিবার্টি সু হাউজের বিক্রয়কর্মী রহমান বলেন, নারীরা হিল, স্লিপার, সু ও স্নিকার্সের পাশাপাশি নতুন ডিজাইনের ফ্ল্যাট হিল কিনছেন। পুরুষদের জন্য রয়েছে লোফার, হাফ সু, স্যান্ডেলসগহ নানা ডিজাইনের জুতা-স্যান্ডেল। এবার ডিজাইনাররাও মেয়েদের জন্য লোফারের বিভিন্ন ধরণের ডিজাইন করেছেন।

যশোরের বাজারে পাওয়া যাচ্ছে চীন ও ব্যাঙ্কক থেকে আনা বিভিন্ন ধরনের জুতো। তবে এ সব জুতোর দাম বেশ চড়া। এ ছাড়া ফুটপাতগুলোয় বাহারি সব চটি, স্যান্ডেল, কেডস ও সু’সহ বিভিন্ন ধরণের জুতো বিক্রি হচ্ছে।

এবারের ঈদে সব বয়সের ছোটদের জুতো ৫শ’ থেকে ২২শ’ টাকা। মেয়েদের ডিজাইন ভেদে স্যান্ডেলের দাম ৫শ’ থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা। সেমি হিল ১৫শ’, থাই ড্রিম কালেকশন ৮শ’ থেকে ১২শ’ টাকা।  জেন্স টমি ১৫শ’ থেকে ২ হাজার টাকা। নাইট ঝুম ২ থেকে ২৫শ’। লোফার ৮শ’ থেকে ৪ হাজার টাকা।

অ্যাপেক্স ব্র্যান্ডের বিক্রয়কর্মী সুজন বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার বিভিন্ন কারণে জুতোর দাম বেড়েছে ৫ শতাংশের মতো। এবারের ঈদে ছোটদের আইটেম বেশি চলছে। এরপরে আছে নারীদের জুতো-স্যান্ডেল। সন্ধ্যার পর মূলত ক্রেতা সমাগম বেশি হচ্ছে।