বৃহস্পতিবার ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড

আরও চড়েছে তাপমাত্রার পারদ, সর্বোচ্চ যশোর ও চুয়াডাঙ্গায়

এখন সময়: বুধবার, ১ মে , ২০২৪, ১১:২৮:২১ পিএম

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: গত একদিনের ব্যবধানে যশোরে তাপমাত্রার পারদ আরো চড়েছে। বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গার পাশাপাশি যশোরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়। খুলনা বিভাগের এই জেলা দুটিতে এদিন তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে বুধবার যশোরের তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

চলমান তীব্র তাপপ্রবাহে জনজীবনে দুর্ভোগ নেমে এসেছে। বৈশাখের খরতাপে হাঁসফাঁস অবস্থা সবার। দিনভর সূর্য যেন আগুন ঢালছে। রাতেও তীব্র গরম অনূভূত হচ্ছে।

স্থানীয় আবহাওয়া অফিস সূত্র জানিয়েছে, যশোরে প্রতিদিনই বাড়ছে তাপমাত্রা। বৈরি হয়ে উঠছে প্রকৃতি। দিনের অধিকাংশ সময় তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামছে না। তবে গরমের তীব্রতা অনুভূত হচ্ছে ৪২ ডিগ্রির চেয়েও বেশি।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, ৩৬ ডিগ্রি থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস মৃদু তাপপ্রবাহ। মাঝারি তাপপ্রবাহ ৩৮ ডিগ্রি থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ৪০ ডিগ্রি থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তীব্র তাপপ্রবাহ। সেই অনুযায়ী যশোরে এখন তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে। আগামী দুই একদিনের মধ্যে এই তাপ প্রবাহের তেমন কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।

প্রচণ্ড গরমে ঘরের বাইরে আসা সাধারণ মানুষ পড়ছেন বিপাকে। বাইরে কড়া রোদ থেকে বাঁচতে অনেকে গাছের ছায়ায় আশ্রয় নিচ্ছেন। লেবুর শরবত খেয়ে স্বস্তি পাওয়ার চেষ্টা করছেন। তীব্র এই গরমে সবচেয়ে কষ্টে পড়েছেন রিক্সা চালকেরা।

 যশোরে শহরের শওকত আলী নামে এক রিকসা বলেন, তীব্র গরমে রিক্সা চালাতে কষ্ট হচ্ছে। গরমে  মাথায় যেন চক্কর দিচ্ছে। কিন্তু ভাড়া না মারলে তো সংসার চলবে না।

আরেক রিকশা চালক মফিজুর রহমান বলছেন, মানুষ বাইরে কম বের হচ্ছে। যারা বাইরে আসছে গরমের সাথে তাদেরও মেজাজ গরম থাকছে। মানুষের সাথে ভালো করে কথা বলা যাচ্ছে না।

শহরের শংকরপুর এলাকার বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম জানান, বাসার ছাদের রিজার্ভ ট্যাংকের পানি গরম হয়ে যাচ্ছে। দুপুর বারোটা থেকে বিকেল পর্যন্ত পানিতে হাত দেয়া যাচ্ছে না।

শহরের শরবত বিক্রেতা কালাম হোসেন জানান, গরম বাড়ায় তাদের শরবত বিক্রি বেড়েছে। মানুষ পিপাসা মেটাতে ও একটু স্বস্তি নিতে ঠান্ডা লেবুর শরবত পান করছেন।