নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোরের বাঘারপাড়ার পল্লীতে নানীকে বেঁধে রেখে নাতনীকে গণধর্ষণের ঘটনায় ৫ জনের বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে। রোববার নানী বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এ মামলা করেছেন। বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) গোলাম কবির অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার আদেশ দিয়েছেন বাঘারপাড়ার ওসিকে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী মিজানুর রহমান মিজান।
আসামিরা হলো, বাঘারপাড়ার ধুপখালী গ্রামের মোজাম মন্ডলের ছেলে ওবাইদুল্যাহ, দেলবার মন্ডলের ছেলে খালেক মন্ডল, রোস্তম জমাদ্দারের ছেলে কহিনুর, জব্বার মোল্যার ছেলে তরিকুল ও মোহাম্মদ মন্ডলের ছেলে মনিরুল।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, আসামিদের সাথে ভুক্তভোগী পরিবারের দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। গত ৭ জুন সকালে আসামিরা ওই বাড়িতে হামলা করে ভাঙচুর ও মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। পরে ওই পরিবার জানতে পারে লুট করা দুইটি সাববক্স গ্রামের ফারুকের বাড়িতে আছে। ১৫ জুন ভোরে নাতনীকে সাথে নিয়ে বাড়ির পাশের মাঠের মধ্যে দিয়ে তারা ফারুকের বাড়িতে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে জনৈক খালেকের বাগানের কাছে পৌঁছানো মাত্র আসামিরা তাদের গতিরোধ করে ধরে নিয়ে যায়। এ সময় আসামিরা নাতনীকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে নানী বাধা দিলে তাকে মারপিট ও বেঁধে রাখে এবং গণধর্ষণ করে। পরে চিৎকারে লোকজন নারিকেলবাড়িয়া ক্যাম্পের পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার ও প্রথমে বাঘারপাড়া পরে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিলে কর্তৃপক্ষ তা গ্রহণ না করায় তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।