Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)

❒* প্রধান উপদেষ্টাসহ ১৪ উপদেষ্টার শপথ, বঙ্গভবনে শপথ পড়ান রাষ্ট্রপতি

দেশের নেতৃত্বে ড. মুহাম্মদ ইউনূস

এখন সময়: বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর , ২০২৪, ০১:০৩:৪৩ পিএম

 

স্পন্দন ডেস্ক: প্রবল গণ আন্দোলন ও সহিংসতার মধ্যে ক্ষমতার পালাবদলের মধ্যে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের হাল ধরতে ঢাকায় এসে পৌঁছালেন। বিমানবন্দরে তাকে দেওয়া হল সরকারি অর্ভ্যথনা। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের নাটকীয়তায় তিনি হলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারপ্রধান।

এর মধ্যে দিয়ে একজন শিক্ষক, অর্থনীতির গবেষক আর ‘গরিবের ব্যাংকার’ হয়ে শান্তিতে নোবেল জয়ীর পরিচয়ের পর নতুন এক পরিচয় পেলেন মুহাম্মদ ইউনূস; গত কয়েক বছর দেশে নানা প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে যাকে যেতে হয়েছে।

নানা ঘাত-প্রতিঘাত আর আদালতের চৌকাঠে ঘুরপাক খাওয়ার সময় পেরিয়ে তিনি হাল ধরলেন বাংলাদেশের। বৈরি সময় পেরিয়ে দেশের অস্থির এক সময়ে আস্থা ফিরিয়ে সবার আস্থাভাজন হয়ে ওঠার চ্যালেঞ্জ নিতে যাচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। রাত ৯টা ২১ মিনিটে বঙ্গভবনে শপথ নেন তিনি। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে শপথ পাঠ করান।

এছাড়াও বঙ্গভবনে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের ১৪ উপদেষ্টা শপথ নিয়েছেন। তাদের শপথও পাঠ করান রাষ্ট্রপতি। আর তিনজন বাইরে থাকায় শপথ নিতে পারেননি।

শপথ শুরুর আগে ছাত্রদের অভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে বঙ্গভবনে উপস্থিত সবাই এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।

শপথ নেয়া ১৩জনসহ ১৬ উপদেষ্টা হলেন:

১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ

২. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন

৩. ড. আসিফ নজরুল

৪. হাসান আরিফ

৫. তৌহিদ হোসেন

৬. সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

৭. শারমিন মুরশিদ

৮. ফারুক-ই-আজম (বীর প্রতীক)

৯. আদিলুর রহমান খান

১০. সুপ্রদীপ চাকমা

১১. ফরিদা আখতার

১২. বিধান রঞ্জন রায়

১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান

১৪. নুরজাহান বেগম

১৫. মো. নাহিদ ইসলাম

১৬. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া

এদিকে দেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শপথ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা যোগ দিলেও ছিলেন না আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলের নেতাদের কেউ।

বঙ্গভবনের দরবার হলে রাতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মুহাম্মদ ইউনূসসহ অন্যান্য উপদেষ্টাদের শপথ পড়ার অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেছিলেন অতিথিরা।

দরবার হলে প্রথম সারির মাঝখানে বসেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। তার বাম দিকে বসেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, এরপর বসেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। এরপর অন্তবর্তীকালীন সরকারের অন্যান্য উপদেষ্টারা বসেন।

প্রধান উপদেষ্টার ডান দিকে ছিলেন সেনাবাহিনী প্রধান ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান, বিমানবাহিনীর প্রধান হাসান মাহমুদ খাঁন।

এরপর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের, জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সালমা ইসলাম, এলডিপির সভাপতি অলি আহমদ, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) সভাপতি আন্দালিব রহমান পার্থ।

দ্বিতীয় সারিতে ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, আবদুল্লাহ আল নোমান, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, জয়নুল আবেদীন, শামসুজ্জামান দুদু, আমানউল্লাহ আমান, মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।

একই সারিতে সিপিবির মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাংলাদেশ জাসদের সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া, মোস্তাক হোসেন, এনডিএমের ববি হাজ্জাজ, সাবেক অর্থনমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়ার ছেলে রেজা কিবরিয়া, গণঅধিকার পরিষদের নুরুল হক নূর, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, এলডিপির শাহাদাত হোসেন সেলিম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, জাগপার খন্দকার লুৎফর রহমান, বাসদের খালেকুজ্জামান ভূঁইয়া, সাম্যবাদী দলের সৈয়দ নুরুল ইসলাম।

দ্বিতীয় সারিতে নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামানও ছিলেন। হুইল চেয়ারে করে এ সারিতে বসেন ড. কামাল হোসেন।

এরপর তৃতীয় সারিতে বসেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা। শপথ অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে দেখা যায়নি। তার আসনটি শূন্য ছিল।

অপরদিকে বিকল্পধারার যুগ্ম মহাসচিব মাহী বি চৌধুরী বঙ্গভবনে আসলেও বিএনপি নেতাকর্মীদের ‘ভুয়া, ভুয়া’ ধ্বনি আর তোপের মুখে প্রবেশ করতে পারেননি তিনি।

১/১১ এর পট পরিবর্তনের পর থেকে দীর্ঘ সময় পর বঙ্গভবনের কোনো শপথ অনুষ্ঠানে বিএনপি, জামায়াতসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের দেখা গেল। সবশেষ ২০০৭ সালে ফখরুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শপথ অনুষ্ঠান বিএনপি বর্জন করে।

Ad for sale 100 x 870 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
Ad for sale 225 x 270 Position (4)
Position (4)