বিল্লাল হোসেন : যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ১৪ বছর ধরে খাবারের টেন্ডার রয়েছে। ঠিকাদারের মামলায় টেন্ডার কার্যক্রম আটকে আছে । দীর্ঘদিন ধরে টেন্ডার না হওয়ায় নতুন রেটের উন্নত খাবার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা। মামলাটি তুলে নেয়ার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে ঠিকাদারকে অনুরোধ করেও কোনো কাজ হয়নি। রোববার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হারুন অর রশিদ এই কথা জানান। হাসপাতালের নিজস্ব সভাকক্ষে মতবিনিময় সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
তত্ত¡াবধায়ক বলেন, গত ২০১০-১১ অর্থবছরের পর থেকে খাদ্য সরবরাহের টেন্ডার হয়নি। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে আহবান করা টেন্ডারে অনিয়মের অভিযোগে উচ্চ আদালতে মামলা করেছিলেন ঠিকাদার হাফিজুর রহমান শিলু। এরপর থেকে আদালতের নির্দেশে টেন্ডার বন্ধ রয়েছে। সেই থেকে একজন ঠিকাদার রোগীদের জন্য খাবার সরবরাহ করে আসছেন। ফলে আগের ১২৫ টাকা রেটে খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। কিন্ত সরকারের নতুন রেট হলো ১৭৫ টাকা। নতুন টেন্ডার না হওয়ার কারণে ১২৫ টাকার খাবার পাচ্ছেন রোগীরা। এতে ১৭৫ টাকা রেটের উন্নত খাবার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা।
তিনি আরও বলেন, হাসপাতালের পরিত্যাক্ত ভবনটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। একই জায়গায় একটি বহুতল ভবন নির্মাণ হবে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অর্থে গণপূর্ত বিভাগ প্রথম অবস্থায় ভবনের ৪তলার কাজ শেষ করবে। পর্যায়ক্রমে ভবনটি ১০ তলা করা হবে। হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগে রোগ পরীক্ষার নতুন সরঞ্জাম দেয়া হবে। অক্সিজেন প্লান্ট স্থাপন হচ্ছে।
তত্ত্বাবধায়ক ডা. হারুন অর রশিদ বলেন, গত বছরের চেয়ে হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কম। তারপরও হাসপাতালে মোটামুটি রোগীর চাপ রয়েছে। এই পর্যন্ত জেলায় ডেঙ্গুতে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে ৪ জনের মৃত্যু হয় জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়। মতবিনিময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যশোর মেডিকেল কলেজের সার্জারী বিভাগের প্রধান ডা. শরিফুল আলম খান, জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. বজল্লুর রশিদ টুলু।
এ সময় হাসপাতালে দালালের দৌরাত্ম্য, জরুরি বিভাগে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি একই চিকিৎসকের লাশের ময়নাতদন্ত করতে যাওয়া, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা ঠিকমতো রাউন্ড না আসা, প্রসূতি ওয়ার্ড ও শিশু ওয়ার্ড পাশাপাশি করা, হাসপাতালের প্রবেশমুখে যানজট নিসরনের বিষয়ে আলোচনা করা হয়।