ক্রীড়া প্রতিবেদক: মোহামেডানের বিপক্ষে চমক দেখানো জয়ে শুরু। তারপর টানা দুই ম্যাচে হার। অবশেষে সেই হারের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে পরপর দুই ম্যাচে জিতলো ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে নবাগত গুলশান ক্রিকেট ক্লাব। রোববার শেরে বাংলায় নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে পারটেক্স স্পোর্টিংকে ৫৭ রানে হারিয়েছে খালেদ মাহমুদ সুজনের শিষ্যরা। সমান ৫ ম্যাচে গুলশান ক্লাবের তৃতীয় পরাজয়ের বিপরীতে পারটেক্স হারলো চতুর্থবারের মতো। ৯ উইকেটে গুলশান ক্লাবের ২২১ রানের জবাবে নেমে পারটেক্স গুটিয়ে যায় ১৬৪ রানে। জয়ের পাশাপাশি এ ম্যাচে গুলশানের স্বস্তির কারণ অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিমের রানে ফেরা। প্রথম ৩ ম্যাচে রান পাননি বাংলাদেশ জাতীয় যুব দল (অনূর্ধ্ব-১৯) অধিনায়ক যশোরের আজিজুল হাকিম তামিম। সর্বশেষ ম্যাচে অবশ্য ৪০ রান করেছিলেন। শেরে বাংলায় দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬২ রান এসেছে আজিজুল হাকিমের ব্যাট থেকে। নিয়মিত ভালো খেলা জাওয়াদ আবরার মাত্র ৬ রানে ফিরলে গুলশান ক্লাবের হাল ধরেন অধিনায়ক তামিম। ওয়ান ডাউন লিটন দাসকে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেটে গিয়ে স্বাচ্ছন্দে খেলে রান চাকা সচল রাখেন তামিম। ৭০ রানের জুটি গড়েন তামিম ও জাতীয় দলের তারকা ব্যাটার লিটন। যাতে লিটনের অবদান মাত্র ২২ রানের (৩৭ বলে)। এরপর তামিম ৭৯ বলে ৩ ছক্কা ও ৬ বাউন্ডারিতে ৬২ রানে ফিরে গেলে গুলশানের রানের গতি কমে যায়। পরে ২২১ রানে গিয়ে থামে দলটি। অভিজ্ঞ অফস্পিনার নাইম ইসলাম এবং তরুণ বাঁহাতি স্পিনার নিহাদউজ্জামান ও আসাদুজ্জামাল পায়েলরা ২২১ রানের মাঝারি মানের স্কোরকেই জয়সূচক পুঁজিতে রূপান্তরিত করলে স্বস্তি পায় গুলশান। সংক্ষিপ্ত স্কোর-গুলশান ক্রিকেট ক্লাব: ৫০ ওভারে ২২১/৯ (জাওয়াদ আবরার ৬, আজিজুল হাকিম তামিম ৬২, লিটন দাস ২২, ইফতিখার ইফতি ৩২, নাইম ইসলাম ২৭, মেহেদী হাসান ২৩, ফরহাদ রেজা ১০, ইলিয়াস সানি ২১*; তৌফিক আহমেদ ৩/৫৬, সাহিদুল ২/৪৬)। পারটেক্স স্পোর্টিং: ৪৩.২ ওভারে ১৬৪ (জয়রাজ শেখ ২৯, রুবেল মিয়া ৪, সাব্বির রহমান রুম্মন ৪, আহরার আমিন ৬, আদিল ১৯, রবিউল ইসলাম রবি ৩০, জাওয়াদ রোয়ান ১৭, আলাউদ্দীন বাবু ১৩, সহিদুল ১২, নাইম জুনিয়র ১২; নাইম ইসলাম ২/২৪, নিহাদউজ্জামান ২/৩৫ ও আসাদুজ্জামান পায়েল ২/৩২, ইলিয়াস সানি ১/১৪, মেহেদী হাসান ১/৩৮)। ফল: গুলশান ক্রিকেট ক্লাব ৫৭ রানে জয়ী।