নিজস্ব প্রতিবেদক: অভয়নগরে আলোচিত বিএনপি নেতা আসাদুজ্জামান জনি ও তার পিতাসহ আটজনের বিরুদ্ধে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আরও একটি মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার নওয়াপাড়া বাজারের ব্যবসায়ী শাহনেওয়াজ কবীর টিপু বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট লস্কার সোহেল রানা মামলার আদেশের জন্য রেখে দিয়েছেন।
আসামিরা হলো- অভয়নগরের গুয়াখোলা সুপারিপট্টির বিএনপি বহিস্কৃত নেতা আসাদুজ্জামান জনি, তার পিতা কামরুজ্জামান মজুমদার, একই এলাকার খোকা মাস্টারের ছেলে সম্রাট, মহিলা কলেজ গেটের আক্কেল দপ্তরীর ছেলে এবং নওয়াপাড়া প্রেসক্লাবের বরখাস্ত সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান দপ্তরী, মনিরুজ্জামানের ছেলে মিঠু, গরু হাটখোলার আজাদ শেখের ছেলে সৈকত হোসেন হিরা ইমদাদুল ইসলাম ও আশরাফুল ইসলাম মাসুম নামে আরও দুই যবক।
মামলায় উল্লেখ করেছেন, তিনি নওয়াপাড়া বাজারে মেসার্স জাফ্রিদি এন্টারপ্রাইজ নামে একটি প্রতিষ্ঠানে ব্যবসা করেন। বেশ কিছুদিন পূর্বে আসামি জনির নেতৃত্বে অন্যরা সকলে টিপুকে ধরে নিয়ে বুক সমান মাটিতে পুতে চার কোটি টাকা চাঁদা আদায় করে। এই ঘটনায় গত ২ আগস্ট টিপুর স্ত্রী আসমা খাতুন বাদী হয়ে জনিসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভয়নগর থানায় মামলা করেন। গত ৭ আগস্ট দুপুর ২টার দিকে বাদীর ফেসবুকে গঙঋওতটজ জঅঐগঅঘ নামে একটি পেজে ‘‘কিসের ভিত্তিতে আমরা জনি এন্টার প্রাইজে টাকা দিলাম এবং জাফ্রিদির টিপু কেন ব্যাংকে টাকা দিলেন’’ শিরোনামে কিছু মন্তব্য লেখা ছিলো। পাশাপাশি তিনশ’ টাকার ননজুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে জনি এন্টারপ্রাইজের সাথে জাফ্রিদির ব্যবসায়ীক কিছু চুক্তিনামা আপলোড করা হয়। যা জালজালিয়াতির মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে । এ বিষয়ে মফিজের সাথে কথা বলেন টিপু। মফিজ এ নিয়ে বাড়াবাড়ি করা হলে এবং পূর্বের মামলা প্রত্যাহার করা না হলে জীবনে শেষ করার হুমকি দিয়ে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। ফলে বাধ্য হয়ে তিনি আদালতে এই মামলাটি করেছেন। কিন্তু বিচারক আদেশের জন্য মামলাটি রেখে দিয়েছেন। ওই মামলায় জনিসহ কয়েকজন আটক হলেও মফিজ দপ্তরী এখনও পলাতক রয়েছেন।