চুয়া প্রতিনিধি : কচুয়ায় উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও খলিশাখালী গ্রামের মৃত কালীপদ ঘোষের ছেলে নিত্য রঞ্জন ঘোষ ও নাশকতা মামলার আসামি খলিশাখালী গ্রামের মৃত আইয়ুব আলী শেখের ছেলে হুমায়ুন কবির ও নিত্যরঞ্জন ঘোষের মামাতো ভাই উজ্বল দাসের অত্যাচার, ষড়যন্ত্র ও হুমকিতে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এদের হাত থেকে বাঁচতে যুদ্ধাপরাধী মামলার সাক্ষী খলিশাখালী গ্রামের মৃত গোপাল চন্দ্র দেবনাথের ছেলে সুভাষ দেবনাথ প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
সোমবার দুপুরে কচুয়া প্রেসক্লাবের মীর সাখাওয়াত আলী দারু মিলনায়তনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি নিত্য রঞ্জন ঘোষ, বিএনপি ক্যাডার ও নাশকতা মামলার আসামি হুমায়ুন কবির ও নিত্য রঞ্জন ঘোষের মামাতো ভাই উজ্বল দাস একটি বাহিনী তৈরি করে অন্যের জমি দখল, মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী, মেয়েদের উত্যক্ত করা, মাদক সিন্ডিকেট তৈরি করে যুবসমাজকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়া, বিভিন্ন লোকের বাড়ি-ঘর, দোকানপাট চুরি, চাঁদাবাজীসহ নানা অপরাধ করে আসছে। এদের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করলে তাদের বিরুদ্ধে শুরু করে অত্যাচার, নির্যাতন। এমনকি আমার ভাইপো দেবাশীষ দেবনাথের দোকানটিও ওই উজ্বল বাহিনীর লোকজন চুরি করেছে কয়েকবার। উজ¦ল দাস নিজেকে কখনো সাংবাদিক, কখনো এনজিও কর্মী দাবি করে এলাকার সাধারণ মানুষকে হুমকি দিয়ে চাঁদা আদায় করছে। বিএনপির শাসনামলে বিভিন্ন ধরনের ব্যক্তিদের সাথে দুর্ব্যবহার, চাঁদাবাজী, হামলা, বিদেশে লোক পাঠানো ও চাকরির কথা বলে অর্থ আত্মসাৎ করতেন ওই নিত্য রঞ্জন ঘোষ।
তিনি আরো বলেন, চোখে ভালো মত দেখিনা। অনেক কষ্ট করে পথ চলতে হয়, তার মধ্যে এই সন্ত্রাসীদের হুমকি ও ষড়যন্ত্রে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। এমনকি মঘিয়া ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আশরাফ আলী শেখ তার ভাই গফ্ফার শেখসহ আমাদের আত্মীয়দের নামে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রাণী করছেন। যে কোনো সময় আমাকে এবং আমার পরিবারের লোকজনকেও প্রাণে মেরে ফেলবে বলেও নানা সময় হুমকি দেয়। আমি প্রশাসনের সহযোগিতা চাই। এ সময়ে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আশরাফ আলী শেখ উপস্থিত ছিলেন।
নিত্য রঞ্জন ঘোষ বলেন, আমি বর্তমানে সরকারি স্কুলের শিক্ষক, এই ধরনের কোনো কার্যকলাপের সাথে আমি জড়িত নই। আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য একটি কুচক্রি মহল ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।