Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)

ডুমুরিয়ার নলঘোনা বিলের তরমুজ যাচ্ছে শ্রীমঙ্গলে

এখন সময়: মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর , ২০২৫, ০৮:৩৯:০০ পিএম

সুব্রত কুমার ফৌজদার, ডুমুরিয়া : ডুমুরিয়ায় নলঘোনা বিলে মাচা পদ্ধতিতে ব্যাপক চাষ হয়েছে বর্ষাকালীন তরমুজ। মিষ্টি ও সুস্বাদু হওয়ায় এবং বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় অফসিজন তরমুজ চাষে আগ্রহ বেড়েছে বিলের অধিকাংশ কৃষকের। এ পদ্ধতিতে তরমুজ চাষ করায় কৃষকরা যেমন অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধিশালী হচ্ছে তেমনি দেশের দক্ষিনাঞ্চলে অর্থনীতিতেও নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হচ্ছে। এখানকার তরমুজ সিলেট জেলার শ্রীমঙ্গল বাজারে বিক্রি হচ্ছে।
জানা যায়, ডুমুরিয়া উপজেলার নলঘোনা বিলে মৎস্যঘেরে মাচা পদ্ধতিতে ব্যাপক চাষ হয়েছে বর্ষাকালীন তরমুজ। জমিতে পানি জমার কারণে কৃষকরা নতুন পদ্ধতিতে চাষাবাদ করছে তরমুজ। আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির মাধ্যমে একই জমিতে ঘেরে মাছ চাষ এবং ঘেরের আইলে তরমুজ ও বিভিন্ন শাকসবজি চাষ। কৃষি প্রযুক্তির অগ্রগতির কারণে কৃষকরা বিভিন্ন প্রতিকূল পরিবেশেও তরমুজ চাষ করতে সক্ষম হচ্ছেন। ডুমুরিয়ার তরমুজ মিষ্টি, সুস্বাদু, পুষ্টিগুণ ও আকারের দিক থেকে আকর্ষণীয় হওয়ায় স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি বাহিরের বাজারেও চাহিদাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এক একটি তরমুজ ৪ থেকে ৫ কেজি বা তার চেয়েও বড় সাইজের হয়েছে। ভিতরে টুকটুকে লাল এবং খুবই মিষ্টি ও সুস্বাদু। ওই বিলে ডুমুরিয়া, রাজিবপুর দক্ষিণমহল, রাজাপুর, মৈখালী, ঘোনাবান্দা, উলা, তালতলা, লোহাইডাঙ্গা ও কাটাখালী এলাকার ৪/৫’শ কৃষক বর্ষাকালীন তরমুজ চাষ করেছেন। তবে এ বছর অতি বৃষ্টির কারণে ফলন কিছুটা কম হলেও বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় বেশ লাভের আশা দেখছেন কৃষকরা। প্রতি বিঘায় ২০/২৫ হাজার টাকা লাভ হচ্ছে তরমুজ চাষীদের। এছাড়া দক্ষিণ ডুমুরিয়া অঞ্চলের অধিকাংশ বিলে মাচায় প্রচুর পরিমাণে অফসিজন তরমুজ চাষাবাদ হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার বিকালে রাজিবপুর দক্ষিণমহল তালতলা মোড়ে সরেজিমেন যেয়ে দেখা গেছে নলঘোনা বিলের তরমুজ সিলেটের শ্রীমঙ্গলে নেয়ার জন্য ট্রাকে লোড হচ্ছে। বিলের অনেক কৃষক সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এসময় কথা হয় কৃষক মোঃ ওসমান গণির সাথে। তিনি এ প্রতিবেদককে জানান, প্রায় আড়াই বিঘা জমিতে তিনি তরমুজ চাষ করেছেন। ২৮০টি মাদায় ৫৬০টি চারা রোপন করেছিলেন। এবারই তিনি প্রথম চাষ করেছেন এই তরমুজ। শুরুতে প্রতিকেজি ৫০/৫৫ টাকায় বিক্রি হয়। এখন ৩৬/৩৭ টাকা বিক্রি হচ্ছে। কৃষক আবুল কালাম শেখ জানান, দুই একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন তিনি। একেকটির ওজন ৪ থেকে ৫ কেজি হয়েছে। ভালো দাম পাওয়ায় অনেক লাভের আশা করছেন তিনি।
তরমুজ ব্যাপারী নাজমুল গাজী ও হাফিজুর জানান, স্থানীয় বাজারের চেয়ে বাহিরে দাম একটু বেশি। যদিও ট্রাক ভাড়া অনেক বেশি তবুও তুলনামুলক বাজার দাম বেশি পাওয়া যাচ্ছে। সিলেটের শ্রীমঙ্গল বাজারে তরমুজের মোকাম খুবই ভালো।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ ইনসাদ ইবনে আমিন জানান, ডুমুরিয়ায় এবছর ২৩০ হেক্টর জমিতে অফসিজন তরমুজ চাষ হয়। হেক্টর প্রতি ৪০ থেকে ৪৫ মেট্রিক টন উৎপাদন হয়েছে। নলঘোনা, কুলবাড়িয়া, খুটোখালী, শোভনা, আটলিয়া, পাতিবুনিয়াসহ বিশেষ করে দক্ষিণ ডুমুরিয়া অঞ্চলে বেশি চাষাবাদ হয়েছে এ তরমুজ।

Ad for sale 100 x 870 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
Ad for sale 225 x 270 Position (4)
Position (4)