ডুমুরিয়া প্রতিনিধি : দীর্ঘ চেষ্টা ও তদন্তের একপর্যায় চুরিকৃত প্রায় ৪ ভরি গলিত সোনা উদ্ধারসহ আন্তঃজেলা চোর সিন্ডিকেটের সক্রিয় সদস্য স্বর্ণকার আনোয়ার হোসেনকে (৩৭) গ্রেফতার করেছে ডুমুরিয়া থানা পুলিশ। ধৃত চোরের দেয়া তথ্যমতে রোববার সন্ধ্যায় খুলনাস্থ শিপিয়ার্ড চানমারি বাজার এলাকায় ‘মা জুয়েলারীতে’ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গত ২৭ আগস্ট ডুমুরিয়া কলেজের প্রভাষক শহিদুজ্জামান গাজীর বাড়িতে এ চুরির ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, সেদিন কলেজ শিক্ষক শহিদুজ্জামানের ডুমুরিয়া সদরের বাড়িতে দিনদুপুরে অভিনব কায়দায় চুরির ঘটনা ঘটে। বাসা-বাড়ির তালা ভেঙে চোরেরা ল্যাপটপ, নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনার পরদিন ২৮ আগস্ট শিক্ষক শহিদুজ্জামানের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু করে থানা পুলিশ। তারা বাড়ির সিসিফুটেজ পর্যালোচনা করে চোরের ছবি পুলিশের বিভিন্ন শাখায় প্রেরণ করে। এছাড়াও পুলিশের ফেজবুক আইডিতেও বিষয়টি পোস্ট করা হয়। এ দেখে কৈয়া বাজারের এক ব্যক্তি চোরকে সনাক্ত করে। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে থানা পুলিশ চোরের ব্যবহৃত ফোন নম্বর উদ্ধার করে এবং মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে চোরদের অবস্থান নির্ণয় করা হয়। সেনুযায়ী গত ৬ সেপ্টেম্বর পুলিশের এসআই শ্রীনিবাস মিস্ত্রির নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম হরিনটানা থানাধীন বাঁশবাড়িয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে বাঁশবাড়িয়া গ্রামের চিহ্নিত চোর রিপন শেখ (৫৫) ও রূপসার সোহেল সরদার (৩৫) কে আটক করে। ধৃত চোরদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে রোববার বিকালে পুলিশ খুলনার শিপিয়ার্ড চানমারি বাজারে ‘মা জুয়েলারীতে’ যায় চোরদের নিয়ে। এরপর স্বর্ণকার আনোয়ার হোসেনকে আটক করা হয়।
থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাসুদ রানা জানান, স্বর্ণকার আনোয়ার হোসেন একজন চোর সিন্ডিকেটের সক্রিয় সদস্য। তার দোকান থেকে চুরিকৃত ৩ ভরি ১৪ আনা গলিত সোনা ও ১টি আংটি উদ্ধার করা হয়। সে দীর্ঘদিনযাবত চুরিকৃত সোনার গহনা ক্রয় করে আসছে। ডুমুরিয়ায় চুরি হওয়ার একদিন পর চোরের ফোন পেয়ে বাঁশবাড়িয়া গ্রামে চোরের বাড়ি এসে ওই স্বর্ণকার অর্ধেক মুল্যে (২ লাখ ৭০ হাজার টাকা) গহনাঘাটিগুলো ক্রয় করে। রোববার রাতে খুলনার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ধৃত চোরদ্বয় ও স্বর্ণকারের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে।