নিজস্ব প্রতিবেদক: যৌতুকের দাবিতে মারপিট করে ভ্রুণ হত্যা অভিযোগে শিক্ষক স্বামী উজ্জল বিশ্বাসের বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা করা হয়েছে। সোমবার কেশবপুরের মধ্যকুল গ্রামের ভজন সাহার মেয়ে বৃষ্টি সাহা এ মামলা করেছেন। অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট লস্কর সোহেল রানা অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার আদেশ দিয়েছেন মণিরামপুরের ওসিকে। আসামি উজ্জল বিশ্বাস মণিরামপুরের কুচলিয়া গ্রামের কৃষ্ণ পদ বিশ্বাসের ছেলে।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, উজ্জল বিশ্বাস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে উজ্জলের সাথে বৃষ্টির পরিচয় ও প্রেম। উজ্জল আগের বিয়ে গোপন করে ২০২৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর বৃষ্টিকে বিয়ে করেন। বিয়ের কয়েক মাস যেতে না যেতে আসামি উজ্জল তার স্ত্রীর কাছে ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করেন। গত ৮ মার্চ উজ্জল তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর কাছে যৌতুক দাবি করে মারপিট করেন। তারপরও বৃষ্টি স্বামীর সংসার করছিলেন। গত ১৫ জুলাই উজ্জল তার স্ত্রীকে যৌতুকের টাকা দাবি করে বেগম মারপিট করেন। এতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে বৃষ্টি সাহা। অসুস্থ বৃষ্টিকে তার স্বামী খাটের সাথে বেঁধে রেখে দেয়। বৃষ্টির বাবার বাড়ির লোকজন সংবাদ পেয়ে তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যায়। ২০ জুলাই বৃষ্টি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে প্রথমে কেশবপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ডাক্তার দেখালে গর্ভের সন্তান মারা গেছে বলে নিশ্চিত করেন। ২২ জুলাই কেশবপুরের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বৃষ্টি সাহা একটি মৃত সন্তান প্রসব করেন। চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে এ ঘটনায় বৃষ্টি সাহা থানায় অভিযোগ দিলে কর্তৃপক্ষ গ্রহণ না করায় তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।