Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)

বেনাপোল-পেট্রাপোলে আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক

এখন সময়: সোমবার, ২৭ অক্টোবর , ২০২৫, ১২:৩৪:১২ এম

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: অবশেষে ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে নিজেদের সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটেছে বেনাপোল কাস্টম কর্তৃপক্ষ। রোববার থেকে স্বাভাবিক হয়েছে বেনাপোল-পেট্রাপোলে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য। এখন থেকে সকাল ৭টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত কাঁচা মালামাল বাদে সব মালামাল নিয়ে ট্রাক বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করবে। আর কাঁচা মালামাল সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত প্রবেশ করবে।

রোববার (২৬ অক্টোবর) সকালে বেনাপোল কাস্টমস কমিশনারের সঙ্গে সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় সভার পর এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের সহসভাপতি কামাল উদ্দিন শিমুল বলেন, কাস্টমস কমিশনারের সঙ্গে মতবিনিময় সভার পর এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার থেকে কাগজপত্র বিহীন ও চোরাই পণ্য অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কোনো পূর্ব ঘোষণা বা প্রস্তুতি ছাড়াই বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে সন্ধ্যা ৬টার পর সব ধরনের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় বেনাপোল কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। তাদের এমন সিদ্ধান্তে দুই দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দরে অচলাবস্থা দেখা দেয়। দুই দেশের সীমান্ত জুড়ে পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ জটের সৃষ্টি হয়। বিপাকে পড়েন ব্যবসায়ী, আমদানিকারক ও রপ্তানিকারকরা।

বন্দর সূত্র জানায়, বাংলাদেশের বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল সীমান্তে প্রতিদিন আটকে থাকছে দেড় হাজারেরও বেশি পণ্যবাহী ট্রাক। এসব ট্রাকে রয়েছে ফল, সবজি, মাছ, কসমেটিকস, রাসায়নিক কাঁচামালসহ দ্রুত পচনশীল পণ্য, যেগুলোর অনেক কিছুই নষ্ট হওয়ার ঝুঁকিতে থাকে। আগে প্রতিদিন গড়ে ৪০০ থেকে ৪৫০ ট্রাক পণ্য বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করলেও এ সিদ্ধান্তের পর তা কমে ১৮০-২০০টিতে নেমে এসেছে।

বেনাপোল কাস্টমের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানায় ব্যবসায়ীরা। যশোর চেম্বার অভ কমার্স এবং ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করে বিবৃতি দিয়েছে। তারা বলেছেন, কাস্টমের এই সিদ্ধান্তে ব্যবসার নেতিবাচক পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে। যার প্রভাব পড়বে দেশের অর্থনীতিতে।

যশোর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মিজানুর রহমান খান জানান, বেনাপোল বন্দর হলো দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর। এই বন্দর দিয়ে ব্যবসাযীরা বেশিরভাগ পণ্য আমদানি রফতানি করে থাকে। আগে প্রতিদিন গড়ে ৪০০ থেকে ৪৫০ ট্রাক পণ্য বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করলেও কাস্টমের ভুল সিদ্ধান্তের কারণে এখন কমে ১৮০-২০০টিতে নেমে এসেছে। যেকোন সিদ্ধান্ত নিতে হলে ব্যবসাযীদের সাথে পরামর্শের আহবান জানান তিনি।

বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক শামীম হোসেন বলেন, কাস্টমস ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে আলোচনার পর বিষয়টি সমাধান হওয়ায় আমরাও খুশি। আমরা বন্দর পরিচালনা করি। তবে কাস্টমস অনুমোদন ছাড়া কোনো পণ্য ক্লিয়ার করা সম্ভব নয়। আমরা বন্দরের পক্ষ থেকে সব ধরণের সহযোগিতা করবো ব্যবসায়ী ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে।

Ad for sale 100 x 870 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
Ad for sale 225 x 270 Position (4)
Position (4)