নিজস্ব প্রতিবেদক: চৌগাছার দশপাখিয়া গ্রামের খালিদ হোসেন সাড়ে ৮ বিঘা জমির ভুয়া দলিলপত্র করে নামজারি করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। এর মধ্যে খালিদ তার ভুয়া কাগজপত্র নামজারির জন্য চৌগাছার বাড়িয়ালীর তহশীল অফিসে জমা দিয়েছেন। এ ঘটনায় জমির মূল ক্রেতা একই গ্রামের গোলাম মোস্তফা-জামারুল গং জেলা প্রশাসন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
লিখিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেছেন, দশপাখিয়া গ্রামের মৃত মোশারফ হোসেনের ছেলে লোকমান হোসেন তার অনেক জমি বিভিন্ন লোকের কাছে বিক্রি করে দেন। পূর্বে বিক্রি করা জমির মধ্য থেকে লোকমান হোসেন তার ছোট ছেলে খালিদ হোসেনের নামে চলতি বছরের ২৬ অক্টোবর বিলে এড়ল মৌজার ৩৪৯, ৩৫০, ৩৫১, ২৫ বাড়িয়ালী মৌজার ৩৬৫, ৩৬৬ খতিয়ানের সম্পূর্ণ জমি দলিল করে দেন। একই সাথে তিনি দশপাখিয়া মৌজার ২৮০, ২৮৭ ও ২৮১ খতিয়ানের অধিকাংশ জমি দলিল করে দেন। এরপর সুচতুর খালিদ হোসেন তার পিতার কাছ থেকে দলিল করে নেয়া জমির সার্টিফিকেট কপি উঠিয়ে নামপত্তন করতে দেন। যা গোলাম মোস্তাফা গংদের নজরে আসায় জেলা প্রশাসন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও তহশীল অফিসে অভিযোগ দিয়েছেন।
গোলাম মোস্তফা জানিয়েছেন, এ সব খতিয়ানের জমি বহু আগে লোকমান হোসেন তাদের কাছে বিক্রি করেছেন। বর্তমানে এসব দাগের ৮ দশমিক ৩৭২ বিঘা জমি আমাদের ভোগদখলে আছে। সুচতুর খালিদ তার পিতাকে দিয়ে ফের তার নামে এসব দাগের জমির দলিল করে নিয়েছেন এবং নামপত্তন করার জন্য তহশীল অফিসে ভুয়া কাগজপত্র জমা দিয়েছেন। তিনি অভিযোগে তদন্ত করে খালিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ও নামপত্তন না করার দাবি জানিয়েছেন।