ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি জানিয়েছেন ঝিনাইদহের জুলাই শহীদ রাকিবুল হোসেনের বাবা-মা। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায়ের প্রতিক্রিয়ায় তারা এ দাবি করেন।
সোমবার বিকেলে শহীদ রাকিবুল হোসেনের বাবা আবুবকর সিদ্দিক ও মা হাফিজা খাতুন এ দাবি জানান।
হাফিজা খাতুন বলেন, শেখ হাসিনা তার ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ছাত্র-জনতাকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিল। আদালতে সব অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। একজন শহীদের মা হিসেবে আমি আজ আংশিক সন্তুষ্ট। আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ, আল্লাহ যেন আমাকে হায়াত দেন। আমি যেন শেখ হাসিনার ফাঁসি কার্যকর দেখে যেতে পারি।
আবুবকর সিদ্দিক বলেন, শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আছাদুজ্জামান খান কামালসহ জুলাই গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে যুক্ত সকলের ফাঁসি নিশ্চিত করতে হবে। যারা গণহত্যা চালিয়ে বিদেশে পালিয়ে গেছে, তাদের দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। দেশের মাটিতে ফিরিয়ে এনে তাদের ফাঁসির রায় কার্যকর করতে হবে। আজ আমরা খুশি। শেখ হাসিনা বহু মায়ের বুক খালি করেছে। একজন নারী হয়েও সে কিভাবে এতো মায়ের সন্তানকে হত্যার আদেশ দিয়েছে তা আমরা ভেবে পাই না।
২৪ এর জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ১৮ জুলাই ঢাকার মিরপুর ১০ নম্বরে বিক্ষোভে অংশ নেন ইঞ্জিনিয়ার রাকিবুল হোসেন। আন্দোলনরত অবস্থায় পুলিশের গুলিতে নিহত হন তিনি। রাকিবুল হোসেন ঢাকার বনানীর একটি জুট মিলে ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার বাসুদেবপুর গ্রামে।
প্রসঙ্গত, সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ রায় দেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন-বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। বহুল আলোচিত এই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ এনে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন প্রসিকিউশন।