শেখ কাজিম উদ্দিন, বেনাপোল : যশোরের শার্শা উপজেলার নাভারণ বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব রুহুল কুদ্দুস ভুঁইয়া (৫৬) আর নেই। সোমবার (১৭ নভেম্বর) বেলা ১২টার দিকে নিজ বাড়িতে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
মরহুম রুহুল কুদ্দুস ভুঁইয়া শার্শা উপজেলার নাভারণ কাজিরবেড় গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের মৃত আব্দুল কাদের ভুঁইয়ার সন্তান। তিনি ৫ ভাই ও ৩ বোনের মধ্যে বাবা-মায়ের চতুর্থ সন্তান ছিলেন।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী, শুভাকাঙ্ক্ষী ও আত্মীয়স্বজন রেখে গেছেন।
সোমবার ঈশার নামাজের পর কাজিরবেড় ঈদগাহ মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
ব্যবসায়ীক জীবনে তিনি ছিলেন একজন সফল মৎস্যচাষি ও নাভারণ বাজারের বিশিষ্ট মাছ ব্যবসায়ী। তার ব্যবসায়ীক পার্টনার ছিলেন শার্শা উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আল মামুন বাবলু।
রাজনৈতিক জীবনে রুহুল কুদ্দুস ভুঁইয়া শার্শা উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে তিনি শার্শা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। দলীয় জীবনে তিনি ছিলেন সাদামনের, নিরহংকারী ও হাস্যোজ্জ্বল একজন মানুষ হিসেবে সুপরিচিত। বিভিন্ন রাজনৈতিক প্রতিকূল সময়েও তিনি সাধারণ মানুষের পাশে থেকে দলের কর্মীদের সংগঠিত করে গেছেন।
তার বড় ভাই আলহাজ্ব আবু সালেহ মিন্টু দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের উপজেলা সিনিয়র সহ-সভাপতি, যশোর জেলা পরিষদের নির্বাচিত সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
রুহুল কুদ্দুস ভুঁইয়ার আকস্মিক মৃত্যুতে এলাকায় গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শোক জানিয়ে আসাদুজ্জামান টনি লিখেছেন, “শার্শা উপজেলা ছাত্রলীগের দুর্দিনের কান্ডারী, সাবেক সভাপতি এবং আমাদের সবার প্রিয় মুখ রুহুল কুদ্দুস ভাই না ফেরার দেশে চলে গেলেন। তিনি ছিলেন নির্লোভ, নির্ভেজাল, সাদামাটা ও দলপ্রিয় একজন মানুষ।”