নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোরে মায়ের রক্তাক্ত শরীর দেখে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ছেলে পলাশ ধর’র (৪৫) মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মহিলা সার্জারী ওয়ার্ডে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে। মৃত পলাশ ধর শহরের বেজপাড়া এলাকার মৃত অজিত ধরের ছেলে। এ ঘটনায় তার পরিবার ও স্বজনদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
জানা গেছে, অজিত ধর’র স্ত্রী সীমা ধর (৬০) যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) তাপসী হলে সর্বসাকুল্যে বেতনে ডাইনিং সহকারী পদে কর্মরত। সোমবার বিকেল ৪ টার তিনি শহরের দড়াটানা থেকে থ্রি হুইলার (পিয়াজু) গাড়ি চড়ে কর্মস্থলের উদ্দেশ্য যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে শানতলার পেপসি কোম্পানির সামনে পৌঁছালে সামনে থাকা অ্যাম্বুলেন্সের সাথে থ্রি হুইলারের সংঘর্ষ হয়। এ সময় সীমা ধর গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনেন। দায়িত্বরত চিকিৎসক সীমা ধরকে ভর্তি করে চিকিৎসার জন্য মহিলা সার্জারী ওয়ার্ডে পাঠিয়ে দেন।
যবিপ্রবির সিনিয়র ইলেকট্রিশিয়ান সুজন হুসাইন জানান, দুর্ঘটনায় মায়ের আহতের খবর শুনে হাসপাতালের ওয়ার্ডে ছুটে যান ছেলে পলাশ ধরসহ অন্য স্বজনেরা। এ সময় মায়ের রক্তাক্ত শরীর দেখে তিনি (পলাশ ধর) ওয়ার্ডের মধ্যে পড়ে যান। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়া হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ইনচার্জ ডা. বিচিত্র মল্লিক জানান, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পলাশ ধর মারা গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সড়ক দুর্ঘটনায় আহত সীমা ধর’র মাথায় প্রচন্ড আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার অবস্থা গুরুতর।
হাসপাতালে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য সোহেল রানা জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত মাকে দেখতে এসে ছেলের মৃত্যুর ঘটনাটি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে।