নিজস্ব প্রতিবেদক : গত তিন বছরে সারাদেশে থেকে বিভিন্ন দেশে গেছে ৩৩ লাখ ২৯ হাজার ৩০৪ ব্যক্তি । এর মধ্যে যশোর জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের ছাড়পত্র নিয়ে বৈধভাবে বিদেশ গেছে ৫১ হাজার ৬৪১ জন। এর মধ্যে ২০২৩ সালে সারাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে গেছে ১৩ লাখ ৫ হাজার ৪৫৩ জন, যশোর থেকে ২৬ হাজার ১৯। ২০২৪ সালে বিভিন্ন দেশে গেছে ১০ লাখ ১১ হাজার ৯৬৯ জন, যশোর থেকে ১৩ হাজার ৯০৪। এবছর নভেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন দেশে গেছে ১০ লাখ ১১ হাজার ৮৮২ জন,যশোর থেকে ১১ হাজার ৭১৮।
সেই সাথে তিন বছরে ৬৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। এর মধ্যে যশোর থেকে যাওয়া প্রবাসীরা ৪৭৫ দশমিক ৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পাঠিয়েছে।
যশোরে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ও জাতীয় প্রবাসী দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে কালেক্টরেট সভা কক্ষ অমিত্রাক্ষরে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় এতথ্য জানান জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সহকারী পরিচালক শাহরিয়ার হাসান।
বৃহস্পতিবার সকালে দিবসটি উপলক্ষে জেলা প্রশাসন যশোর, জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের উদ্যোগে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সুজন সরকার। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাশার। জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সহকারী পরিচালক শাহরিয়ার হাসানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, ইসলামী ব্যাংক পিএলসি যশোর শাখার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহমুদ হাসান, টিটিসি অধ্যক্ষ ইফফাত মাহমুদ, নির্বাহী পরিচালক রাইটস যশোরের বিনয় কৃষ্ণ মল্লিক প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক আহসান হাবীব পারভেজ ।
আলোচনা শেষে রেমিট্যান্স যোদ্ধা জার্মানী প্রবাসী আফরোজা বুলবুলের পক্ষে তার বোন ইসমতয়ারা ও মালায়েশিয়া প্রবাসী পুরুষ রেমিট্যান্স যোদ্ধা আমির হোসেনের পক্ষে তার স্ত্রীকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। একই সাথে প্রতিষ্ঠান ক্যাটাগরিতে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স অর্জনকারী হিসাবে ইসলামী ব্যাংক ও ২য় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স অর্জনকারী ব্যাংক হিসাবে অগ্রণী ব্যাংকে যশোর জেলা শাখা প্রধানদের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেয়া হয়।
‘দক্ষতা দিয়ে যাবো বিদেশ, রেমিট্যান্স দিয়ে গড়ব স্বদেশ’ প্রতিপাদ্য সকালে কালেক্টরেট চত্বর থেকে র্যালি বের করা হয়। বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে র্যালির উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশেক হাসান।