১০০ দিন পর আজ খুলছে সুন্দরবন

এখন সময়: বুধবার, ২৪ এপ্রিল , ২০২৪, ০৪:৩১:৩৬ এম

আ. মালেক রেজা, শরণখোলা: প্রজননসহ সুন্দরবনের মৎস্য সম্পদ রক্ষায় ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সকল নদ-নদী ও খালে সব ধরনের মাছ আহরণ ও বিপননে তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে আজ (১ সেপ্টেম্বর) থেকে উন্মুক্ত করে দেয়া হচ্ছে সুন্দরবন। পর্যটক ও জেলেদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠবে সুন্দরবন এ প্রত্যাশা প্রকৃতি প্রেমীদের। পর্যটকরা সুন্দরবনের দর্শনীয় স্থান অভয়ারণ্য কটকা. কচিখালী, দুবলা, হিরণপয়েন্ট, করমজল, হাড়বাড়িয়াসহ বিভিন্ন স্থানে ও পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ভ্রমণ করতে পারবেন। এছাড়া সুন্দরবনের উপর নির্ভরশীল জনগোষ্ঠী জেলেসহ বনজ সম্পদ আহরণের পাস পারমিটও দেয়া হবে বলে বন বিভাগ সূত্র জানিয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খুলনা, বাগেরহাট, মংলা ও শরণখোলায় শতাধিক ট্যুরিজম অপারেটর থাকলেও এর মধ্যে রেজিস্ট্রেশন রয়েছে প্রায় ৫০টি। পর্যটন শিল্পের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় দুই হাজার কর্মকর্তা কর্মচারী, ট্রলার মালিক ও শ্রমিক রয়েছেন। সুন্দরবনে প্রবেশে দীর্ঘ তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা থাকায় সুন্দরবনের উপর নির্ভরশীল জনগোষ্ঠী জেলে-মৎস্যজীবীরা মানবেতর জীবন যাপন করেছেন। জেলেনির্ভর ব্যবসায়ীরাও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। পাশাপাশি ট্যুর অপারেটরগুলোও আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। তবে, নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় সকল পেশাজীবীদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।

পূর্ব সুন্দবনের শরণখোলা ষ্টেশন কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান জানান, তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে আজ (১ সেপ্টেম্বর) থেকে বন বিভাগের অনুমতি (পাশ) নিয়ে মাছ, কাঁকড়াসহ পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হচ্ছে সুন্দরবন।

বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মিহির কুমার দো জানান, ৬ হাজার ১৭ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের সুন্দরবনে জলভাগের পরিমাণ ১ হাজার ৮শ’ ৭৪.১ বর্গ কিলোমিটার। যা সুন্দরবনের মোট আয়তনের ৩১.১৫ ভাগ। জুন থেকে আগস্ট এ তিন মাস সুন্দরবনের মাছের প্রজনন মৌসুম। এ সময়ে সুন্দরবনের নদী ও খালে থাকা মাছের ডিম ফুটে বাচ্চা আসে। তাই সুন্দরবনের মৎস্য সম্পদ রক্ষায় ইন্টিগ্রেটেড রিসোর্সেস ম্যানেজমেন্ট প্ল্যানসের (আইআরএমপি) সুপারিশ অনুযায়ী ২০১৯ সাল থেকে প্রতি বছর ১ জুলাই থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সুন্দরবনের সকল নদী ও খালে মাছ আহরণ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে সরকার।