মোটরসাইকেলে প্রেস স্টিকার লাগানো মণিরামপুরে এরা কারা ?

এখন সময়: বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ , ২০২৪, ০৪:৫৫:৩৯ পিএম

 

নিজস্ব প্রতিবেদক, মণিরামপুর : প্রেস স্টিকার লাগানো মোটরসাইকেলের দৌরত্ম্য বাড়ছে প্রতিনিয়ত। শুধু মণিরামপুর উপজেলার প্রধান সড়ক নয়, বিভিন্ন ইউনিয়নেও এখন প্রেস লাগানো মোটর সাইকেলের ছড়াছড়ি। আর এ অবস্থার জন্য চরম বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে পড়ছে পেশাদার সাংবাদিকরা। এ অবস্থা উত্তরণের জন্য মণিরামপুর প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা তাদের নিজস্ব মোটর সাইকেলে পত্রিকার স্টিকার ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

খোঁজখবর নিয়ে জানাগেছে, বিভিন্ন শ্রেণিপেশার লোক তাদের মোটরসাইকেলে স্টিকার ব্যবহার করছেন। রাজমিস্ত্রী থেকে শুরু করে মাদকসেবী এবং বিক্রেতারা হরহামেশায় তাদের মোটরসাইকেলে প্রেস স্টিকার লাগিয়ে নিয়েছেন। মণিরামপুর উপজেলার ইউনিয়ন ও সদরে কম করে হলেও দু’শতাধিক মোটরসাইকেল প্রেস স্টিকার ব্যবহার করে চলেছে। প্রশাসনকে থোড়ায় কেয়ার করে এসব স্টিকার লাগানো অনেক মাদক কারবারি দাপটের সাথে চলছে।

আব্দুল আলিম নামে এক ইউপি চেয়ারম্যান বললেন, এত সাংবাদিক এক উপজেলাতে চলে? পৌর শহরের রাজগঞ্জ মোড় এক মিষ্টান্ন ভান্ডারের মালিক জানান, সাংবাদিকের কারণে সাধারণ মানুষও এখন জিম্মি। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, সাংবাদিক হতে গেলে কতটুকু লেখাপড়ার প্রয়োজন আছে। প্রাইমারি পাস করে একজন বুম নিয়ে বড় সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বেড়াচ্ছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, মাদক বিক্রেতা, সেবনকারীরা প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিতে এখন তাদের মোটর সাইকেলে প্রেস স্টিকার লাগিয়ে নিয়েছে। ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেলেও প্রেস স্টিকার ব্যবহার করে দাপটের সাথে চলছে। অবশ্যই এদের কাছে বুমও রয়েছে।

খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে, বিভিন্ন ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকা মহিলাদেরকেও বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহার করছে এসব স্টিকার লাগানো মোটর সাইকেলধারীরা। ফেসবুক আইডি খুলে নিজের মোটর সাইকেলে প্রেস স্টিকার লাগিয়ে নিয়েছে জনৈক হাবিবুর রহমান নামের এক যুবক। স্কুল-মাদরাসার শিক্ষকদের অনেকে এখন প্রেস স্টিকার ব্যবহার করছেন। প্রশাসনের লোকজন প্রতিনিয়ত রাস্তায় গাড়ি চেক দেয়ার কারণে এই স্টিকার গুলো ব্যবহার করছেন বলে সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল মামুন সোহান জানিয়েছেন। এ অবস্থা থেকে  উত্তোরণ চান পেশাদার সাংবাদিকরা।

এ অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে মণিরামপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন জানান, এ পরিবেশ থেকে সহসা উত্তোরণের সুযোগ নেই। যে কারণে পেশাদার সাংবাদিকরা বিভিন্ন সময়ে বিব্রতকর অবস্থায় মধ্যে পড়ছেন।

এ ব্যাপারে মণিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মনিরুজ্জামান বলেন, সাংবাদিকদের গাড়ি চেক দিলে তো তাদের সম্মানহানী ঘটে। এ কারণে স্টিকার লাগানো গাড়ি গুলো চেক দেয়া হচ্ছে না। যদি প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা মনে করেন, প্রশাসনের যথাযথ নিয়ম মেনেই সকলকে দেখা হবে।