নিজস্ব প্রতিবেদক, মণিরামপুর : প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম, রিফাত হোসেন ও আসমা খাতুনকে সরকারি বরাদ্দের ৫০ হাজার টাকা না দিয়ে বিদ্যালয়ের উন্নয়ন খাতে ব্যয় করা হয়েছে। রোববার এ বিষয়ে মণিরামপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে এক শুনানিতে এ তথ্য উঠে আসে। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আনিচুর রহমান তজু, শিক্ষক প্রতিনিধি প্রভাষ চন্দ্র রায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সংশ্লিষ্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পিবিজিএসআই/এসইডিপি/১৮/২০২১/২০৩ স্মারকে গত ১৯ জুন প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয় দেলুয়াবাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়। এ টাকা পাওয়ার জন্য বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের নিকট একই বিদ্যালয়ের প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী দশম শ্রেণির আরিফুল ইসলাম, সপ্তম শ্রেণির রিফাত হোসেন ও আসমা খাতুনের অভিভাবক আবেদন করেন। কিন্তু এ আবেদনের বিষয়টি নিয়ে কিছুই ভাবেননি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এক পর্যায়ে আরিফুল ইসলামের পিতা আসাদুর রহমান ও রিফাতের পিতা লাভলু হোসেন জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে লিখিত আবেদন করেন।
সূত্র জানায়, জেলা প্রশাসকের কাছে দেয়া আবেদনের প্রেক্ষিতে মণিরামপুর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে রোববার দুপুরে শিক্ষা কর্মকর্তার দপ্তরে শুনানি হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রতিবন্ধীদের জন্য বরাদ্দকৃত ৫০ হাজার টাকা তাদের না দিয়ে বিদ্যালয়ের উন্নয়ন খাতে ব্যয় করা হয়েছে। অবশ্য, বিষয়টি স্বীকার করেছেন বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি আনিচুর রহমান ও শিক্ষক প্রতিনিধি প্রভাষ চন্দ্র রায়।
এ ব্যাপার কথা বলতে প্রধান শিক্ষক নিহার রঞ্জন রায়ের ব্যক্তিগত মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও ফোনটি রিসিভ হয়নি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিকাশ চন্দ বলেন, প্রতিবন্ধীদের জন্য বরাদ্দকৃত ৫০ হাজার টাকা বিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজে ব্যয় করা হয়েছে। তবে, বিদ্যালয়ে কার্ডধারী প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী থাকলে তাদের মধ্যে অবশ্যই এই টাকা বিতরণ করতে হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে এ ব্যাপারে সময় দেয়া হয়েছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি।