ডিজিটাল নিরাপত্তা ও পর্নোগ্রাফিসহ চাঁদাবাজির মামলায় আনোয়ারুল কবীর অভিযুক্ত

এখন সময়: শনিবার, ২৭ জুলাই , ২০২৪, ০৫:৩৮:৩০ এম

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোরে ডিজিটাল নিরাপত্তা ও পর্নোগ্রাফিসহ চাঁদাবাজির আলাদা তিন মামলায় আনোয়ারুল কবীরকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। মামলার তদন্ত শেষে কোতয়ালি থানার পরিদর্শক তরিকুল ইসলাম, এসআই প্রদীদ কুমার রায় ও  নরেন্দ্রপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই নাজমুল হাচান আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন।

ওই ব্যক্তি ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার নাটিমা গ্রামের মৃত এরশাদ আলী মন্ডলের ছেলে। তিনি যশোর শহরের খড়কীর শাহ্ আব্দুর করীম সড়কে বসবাস করতেন। বর্তমানে ঢাকার মিরপুর শেওড়া পাড়া পীরেরবাগ এলাকার বাসিন্দা।

 মামলার অভিযোগে জানা গেছে, যশোর চাঁচড়ার বাজার এলাকার শেখ সাদিয়া মৌরিন জেলা ছাত্রলীগের ছাত্রী বিষয়ক সম্পদক ও সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ছিলেন। তিনি শেখ সাদিয়া মৌরিন নামে একটি ফেসবুক আইডি খুলে পরিচালনা করেন। ২০২২ সালের ২১ মে থেকে ২৫ মে পর্যন্ত আসামি আনোয়ারুল কবীর তার ফেসবুক আইডি থেকে ছবি সংগ্রহ করেন। এরপর ছবিগুলো এডিট করে আনোয়ারুল কবীর তার নিজ নামের ফেসবুক আইডি থেকে পোস্ট করে সম্মানহানি করেন। এ ঘটনায় মৌরিন আনোয়ারুল কবীরসহ দুইজনকে আসমি করে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন।

এ মামলার তদন্ত শেষে ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় আনোয়ারুল কবীরকে অভিযুক্ত করে ডিজিটাল নিরাপত্তা ও পর্নোগ্রাফি আইনে আলাদা চার্জশিট দিয়েছেন। এ মামলার অপর আসামি শহিদুজ্জামানের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছে।

অপর দিকে, ২০২৩ সালের ২৪ মে যশোর সদরের নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাজু আহমেদ আনোয়ারুল কবীরের বিরুদ্ধে ফেসবুকে ভিত্তিহীন ও মানহানিকর পোস্ট করা এবং হোয়াটসআ্যাপের মাধ্যমে ৩ লাখ টাকা চাঁদাদাবির অভিযোগে কোতয়ালি থানায় মামলা করেছিলেন। ওই মামলার তদন্ত শেষে আনোয়ারুল কবীরকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।

এ ছাড়া ২০২৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে আসামি আনোয়ারুল কবীর যশোর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লাইজু জামান সম্পর্কে বিভিন্ন আপত্তিকর কথাবার্তা লিখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করেন।  তার হোয়াটসঅ্যাপে কল করে ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদার টাকা না দিলে তার প্রচার অব্যাহত থাকবে বলেও হুমকি দেন। এতে তিন কোটি টাকার মানহানি হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।  এ ঘটনায় মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী সিমু চৌধুরী থানায় মামলা করেন। এ মামলার তদন্ত শেষে আসামি আনোয়ারুল কবীরকে চাঁদাবাজি ও মানহানি ঘটানোর অপরাধে অভিযুক্ত করে আদালতে এ চার্জশিট দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।  অভিযুক্ত আনোয়ারুল কবীরকে সব মামলায় আটক দেখানো হয়েছে।